ভারতে পালানোর সময় ৩ আওয়ামী লীগ-ছাত্র লীগ নেতা আটক

সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত দিয়ে ভারত যাওয়ার সময় বরিশাল ও খুলনা আওয়ামী লীগের দুই নেতাকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। আজ বৃহস্পতিবার তাদের আটক করে বিজিবি।

আটকরা হলেন, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরেনিয়াবাদ সাদিক আব্দুল্লাহর ক্যাশিয়ার নীরব হোসেন ওরফে (খোড়া টুটুল) এবং খুলনার মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের ক্যাশিয়ার আমজাদ হোসেন।

সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফুল হক জানান, তাদের কাছে গোপন সংবাদ ছিল রাজনৈতিকভাবে প্রভাব বিস্তার করে সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এমন দুইজন ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে পারেন। এর ভিত্তিতে সীমান্তের তল্লাশি চৌকিতে বিশেষ নজর রাখা হয়।

তিনি আরও জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে নীরব হোসেন ইমিগ্রেশন পার হয়ে ভারতে যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে তাকে আটক করা হয়। এছাড়া দুপুরে খুলনার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা তালুকদার খালেকের ক্যাশিয়ার আমজাদ হোসেনকেও আটক করা হয়েছে।

ভারতে যাওয়ার পথে ছাত্রালীগ নেতা আটক

যশোরের বেনাপোলে বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব হালদার। গতকাল বুধবার বিকেলে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় তাকে আটক করা হয়।

বিজিবি জানায়, আটক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার বাড়ি ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বান্দুরা ইউনিয়নের নতুন বান্দুরা গ্রামে। তিনি নবাবগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বলে জানিয়েছে বিজিবি।

বেনাপোল চেকপোস্ট বিজিবি ক্যাম্পের সুবেদার মিজানুর রহমান বলেন, ‘ছাত্রলীগ নেতা সজিবকে আটক করা হয়েছে। সে কোনো নাশকতার সঙ্গে জড়িত কিনা থানা-পুলিশের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় দ্রুত যাচাই করা সম্ভব হয়নি। থানার কার্যক্রম শুরু হলে যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে সীমান্তে সতর্কতা জারি করায় কমেছে পাসপোর্টধারীদের যাতায়াত। ইতিপূর্বে বেনাপোল ইমিগ্রেশন দিয়ে প্রতিদিন ৮ হাজার পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করতো ভারতে। বর্তমানে যাত্রীর সংখ্যা গিয়ে দাড়িয়েছে ২০০ থেকে ২৫০।