করোনা নিয়ে মন্ত্রী-এমপিদের সাথে বৈঠক করেছেন ইঞ্জি. মোশাররফ

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে সমন্বয় সাধন করতে বৈঠক করেছেন চট্টগ্রামের মন্ত্রী-এমপিরা। দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর- চট্টগ্রামের মন্ত্রী-এমপিদের সাথে বৈঠক করলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

বুধবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক, চট্টগ্রাম-১ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

বৈঠকে চট্টগ্রাম-১৩ আসনের সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম-৯ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ছাড়া চট্টগ্রামের আরও ৮ জন সংসদ সদস্য অংশ নেন।

তারা হলেন, চট্টগ্রাম-৪ আসনের দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম-৬ আসনের এবিএম ফজলে করিম, চট্টগ্রাম-৮ আসনের মোছলেম উদ্দিন আহমদ, চট্টগ্রাম-১১ আসনের এমএ লতিফ, চট্টগ্রাম-১৪ আসনের নজরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের আবু রেজা মু. নেজামউদ্দিন নদভী, চট্টগ্রাম-১৬ আসনের মোস্তাফিজুর রহমান এবং সংরক্ষিত নারী-৬ আসনের খাদিজাতুল আনোয়ার সনি।বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, ১ মাস আমি কক্সবাজারে কোয়ারেন্টিনে ছিলাম। কিন্তু আমি এলাকায় আমার কর্মী, আওয়ামী লীগের কর্মী এবং ইউএনও’র সঙ্গে সমন্বয় করে সরকারি সহায়তা যেগুলো ছিলো- সেগুলো দিয়েছি। আমাদের দলীয় সহায়তাও দিয়েছি। মিরসরাইয়ে কোনো সমন্বয়হীনতা নেই। সেখানে এখন পর্যন্ত ৫ বার ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। আজকে আবার দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, স্বয়ং নিজে এলাকায় গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করতে হবে- এমন কোনো কথা নেই। এলাকায় ত্রাণ বিতরণ ঠিকভাবে হলেই হলো। এখানে যে যেখানে থাকুক না কেনো- সোশ্যাল ডিসটেন্স রেখে হলেও যার কাজটা সে করছে কি না- এটা দেখতে হবে। এবং সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন আজকে আমি এখানে বসে আলাপ করছি। আমার এলাকায় আজকেও ১৮টি স্থানে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে।

‘দিস ইস হাউ ইউ মেইনটেইন। দিস ইস হাউ ইউ ম্যানেজ। হাউ ইউ ম্যানেজ ইন বেটার ওয়ে।’

প্রবীণ এই রাজনীতিক বলেন, এখানে অনেকে ‘ইউলো জার্নালিজম’ এর মাধ্যমে অনেক কিছু বলছে। তারা বট বৃক্ষের কথা বলছে। বটবৃক্ষ কোথায় জিজ্ঞেস করছে। চট্টগ্রামের দুই বট বৃক্ষের দুই শাখা অলরেডি এখানে আছে। আমাদের জাবেদ এবং নওফেল। বটবৃক্ষ এমন যে- বটবৃক্ষের ছায়া সব সময় চট্টগ্রামের ওপর থাকবে। আগেও ছিলো। এখনো থাকবে। বট বৃক্ষের ছায়া কোনো দিন মুছে যাবে না।

সভায় সরকার দলীয় সংসদ সদস্যরা করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় তাদের মতামত তুলে ধরেন। প্রশাসন-দলের মধ্যে আরও বেশি সমন্বয়ের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা নিয়ে কথা বলেন। লকডাউন শিথিল করে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখা, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে তাদের ভাবনা তুলে ধরেন।

বৈঠকে মাঠ প্রশাসনের কার্যক্রম তুলে ধরেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন। স্বাস্থ্য বিভাগের কার্যক্রম তুলে ধরেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী।

এছড়াও বৈঠকে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালামসহ চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর জেলা এবং দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা অংশ নেন।