কে জানতো যে এটাই হবে করোনা ভাইরাসের প্রতিচ্ছবি

গোলাম মাওলা মুরাদ:

দেখতে অনেকটা করোনা ভাইরাসের প্রতিচিত্রের মতোই। মনে হয় যেন করোনা ভাইরাস আসার পর তার আলোকচিত্র দেথে শিল্পী তার আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে তৈরি করেছেন চমৎকার এই ভাস্বর্য। যদিও ভাস্কর্যটি তৈরি হয়েছিল ২০১৮ সালে আর তার উদ্বোধনও করা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর।

চট্টগ্রাম  নগরের এসএস খালেদ সড়ক (আসকার দীঘির পূর্বপাড়) ও সার্সন রোডের গোলচত্বরে ‘মৈত্রী-১’ নামের ভাস্কর্যটি এখনো অনেকের নজর কাড়ে।

দেখতে অনেকটা করোনা ভাইরাসের মতো হওয়ায় ওই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মানুষের কৌতুহলী চোখ ঘিরে থাকে ভাস্কর্যটিকে।

ছবি কৃতজ্ঞতায়- কমল রুদ্র

যদিও একে কাকতালীয় ঘটনা বলছেন অনেকে, তবুও ভাস্বর্যটি দেখতে করোনা ভাইরাসের মতো লাগায় তার নির্মাতার কথা ভাবেন কেউ। শিল্পী হয়তো তার আপন মনে ভাবতে ভাবতেই এরকম একটি ভাস্কর্য তৈরি করে ফেলেন যেটা প্রায় বছর দেড়েক পরে এসে দেখতে করোনা ভাইরাসের ছবির মতোই মনে হয়।

ভাস্কর প্রণব সরকার ও স্থপতি আইনুল ইসলাম শাওন শৈল্পিক ডিজাইন করেছেন এ ভাস্কর্যের।

ছবি কৃতজ্ঞতায়- কমল রুদ্র

ভাস্কর্যের ‍উদ্বোধন করতে গিয়ে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছিলেন, গ্রিন এন্ড ক্লিন সিটি গড়ার মধ্য দিয়ে নগরকে একটি পরিবেশ বান্ধব নগরে পরিনত করার উদ্যোগের অংশ হিসেবেই ভাস্কর্যটি তৈরি করা হয়েছে।

জামালখান ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন তখন বলেছিলেন, গোলচত্বরটি জামালখান, বাগমণিরাম ও চকবাজার ওয়ার্ডের সীমানায় বলেই মৈত্রী নামকরণ ও ডিজাইন করা হয়েছে।

যদিও আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে অর্থাৎ আসকার দিঘির পাড় এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, তাল বা এ জাতীয় একটি গাছ কেটেই সে স্থানেই তৈরি করা হয়েছিল এই স্টিলের ভাস্বর্য।

তবে যে যে ভাবেই দেখুক বিষয়টা এটি যে একসময় দেখতে আজকের করোনা ভাইরাসের ছবির মতোই হয়ে যাবে, তা হয়তো কারো মাথাতেই ছিল না।