একটি সড়ক কিংবা স্থাপনার মানিক চৌধুরীর নামে করার দাবি

‘বিপ্লব তীর্থ চট্টগ্রামের ক্ষণজন্মা পুরুষ মানিক চৌধুরীর রক্তে ছিল দেশপ্রেমের নেশা। শুদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর ঘনিষ্ঠ মানিক চৌধুরীদের অবদান যথাযোগ্য মর্যাদায় স্মরণ করে তাঁদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা গেলে লুটেরাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স ঘোষণা বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে।
বক্তারা আরো বলেন, মানিক চৌধুরী সার্বিক অর্থে দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ ছিলেন। দেশের জন্য চরম ত্যাগের জন্য প্রস্তুত ছিলেন। এসব মানুষের রাজনৈতিক জীবন থেকে আজকের নতুন প্রজন্মের রাজনীতিবিদদের দেশপ্রেম আর দলীয় আনুগত্য বিষয়ে অনেক কিছু শেখার আছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে পূর্ণরূপ দিতে হলে তাঁদের জানতে হবে। তাঁদের লড়াই-সংগ্রাম থেকে নিজেদের পথ নির্মাণ করতে হবে। মানিক চৌধুরীদের ভুলে গেলে চলবে না। ভুলে গেলে ইতিহাস ক্ষমা করবে না।’
বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী, মহান মুক্তিযুদ্ধের কীর্তিমান সংগঠক, ৬ দফা আন্দোলনের অগ্রদূত, ঐতিহাসিক আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত, অবিভক্ত চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ, ২০১৮ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত জাতীয় বীর মানিক চৌধুরী’র (ভূপতি ভূষণ চৌধুরী) ৪৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
৩০ জুন, রবিবার বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে স্বাধীনতা সংগ্রামী মানিক চৌধুরী স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় মুক্তিযুদ্ধকালীন জয় বাংলা স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী, চট্টগ্রামের উপ-প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালির সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় পরিষদ সদস্য যথাক্রমে নঈম উদ্দিন চৌধুরী ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইউনুস, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, প্রফেসর রণজিৎ কুমার দে, জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সফর আলী, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র চট্টগ্রামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তপন দত্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা জীতেন্দ্র প্রসাদ নাথ মন্টু, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের মাসুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.কে.এম সরোয়ার কামাল দুলু, লন্ডন প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবদুল মাবুদ, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি চট্টগ্রামের সভাপতি অধ্যাপক অশোক সাহা, জাসদ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জসীম উদ্দিন বাবুল, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলার কার্যকরী সভাপতি প্রফেসর ড. আলা উদ্দিন, সাংবাদিক বেলায়েত হোসেন, অধ্যাপক মো. মাসুম চৌধুরী প্রমুখ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মরমী গবেষক প্রফেসর ড. সেলিম জাহাঙ্গীর, মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদ মনোয়ার, ন্যাপ (মোজাফ্ফর) কেন্দ্রীয় নেতা মিটুল দাশগুপ্ত, শ্রমিক লীগ চট্টগ্রাম সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইদ্রিস, বীর মুক্তিযোদ্ধা কিরণ লাল আচার্য্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রমিজ উদ্দিন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা উদয়ন নাগ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বালাগাত উল্ল্যাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আবু ছৈয়দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাহারুল ঈমান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবুল দে, বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যজিৎ পালিত, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম সভাপতি পিনাকী দাশ, সোলেমান খান, নুরুল আরশাদ চৌধুরী, অধ্যাপক মিল্টন কান্তি চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মোহাম্মদ সালাউদ্দিন খালেদ বাবুল, সৈয়দা তাহমিনা সুলতানা, কাজী রাজিশ ইমরান, কামরুল হুদা পাভেল, সূচিত্রা গুহ টুম্পা, আরাফাতুল মান্নান ঝিনুক, জয়নুদ্দীন জয়, মো. রিতাপ উদ্দিন বাবু, সজল চৌধুরী, শামসুল হুদা, প্রণব রাজ বড়–য়া, তিনকড়ি চক্রবর্ত্তী, হাজী মীর আহমদ, উত্তম নাগ, প্রশান্ত ভট্টাচার্য্য, তপন চৌধুরী, রূপক চৌধুরী, সাইফুদ্দিন আহমদ সাকী, সুভাষ চন্দ্র চৌধুরী, কল্লোল কান্তি দত্ত, আবদুর রহমান, শ্যামল দাশ, ডা. মনতোষ ধর, মো. নেয়াজ আহমদ চৌধুরী, শাহীন ফেরদৌসী, শবনম ফেরদৌসী, রোপি দাশ, মোহাম্মদ ইমরান মুহুরী, সংগীত শিল্পী অচিন্ত্য কুমার দাশ, কানিজ ফাতেমা, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক সরিৎ ধর, অনিক মিত্র, কানু রামু দে, মাধব ধর, সিঞ্চন ভৌমিক, মো. দেলোয়ার হোসেন, রাজীব চৌধুরী, শওকত খান প্রমুখ।
পরিবারের পক্ষে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন প্রয়াতের সুযোগ্য সন্তান দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা ও নির্মূল কমিটির সহ-সভাপতি দীপংকর চৌধুরী কাজুল। সভায় বক্তারা চট্টগ্রামে মানিক চৌধুরীর নামে একটি সড়ক কিংবা স্থাপনার নামকরণের জোর দাবি জানান।