খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবি সাবেক ১৬৬ আমলার

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে বিদেশে আধুনিক চিকিৎসা সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত হাসপাতালে পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন প্রজাতন্ত্রের অবসরপ্রাপ্ত ১৬৬ জন কর্মকর্তা। রোববার সাবেক এই আমলারা এক যৌথ বিবৃতিতে এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে আমলারা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ভয়াবহ অবনতিতে আমরা গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা প্রকাশ করছি এবং তার সুচিকিৎসার জন্য অবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর জন্য সরকারের প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
চিকিৎসকদের পরামর্শের কথা উল্লেখ করে ১৬৬ আমলা যৌথ বিবৃতিতে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল টিম বারবার জানিয়ে আসছেন যে, তার বয়স এবং অসুস্থতার যে জটিল অবস্থা তাতে যে ধরনের চিকিৎসা প্রয়োজন, তা দেশে সম্ভব নয়। তার এমন সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি সম্বলিত যে সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন তা দেশে নেই। মেডিকেল বোর্ড আরও বলেছেন যে, তার বর্তমান শারীরিক অবস্থা খুবই নাজুক, ঝুঁকিপূর্ণ, জটিল ও সংকটাপন্ন। তিনি এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। ফলে বেগম খালেদা জিয়াকে সুস্থ করে তুলতে হলে, তার জীবন বাঁচাতে হলে বিদেশের উন্নত মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যথাযথ চিকিৎসার কোন বিকল্প নেই। দেশের প্রতিটি নাগরিকের মতো সাংবিধানিক অধিকার অনুসারে তারও বিদেশে যথাযথ চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

এতে আমলারা আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান সংকটপূর্ণ শারীরিক অসুস্থতায় বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগকে রাজনৈতিক ঘেরাটোপে বন্দী না রেখে এবং তার চিকিৎসার আবেদনকে আইনের দোহাই দিয়ে প্রত্যাখ্যান না করে সকল সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে তার জীবন-মৃত্যুর এই জটিল সন্ধিক্ষণে সম্পূর্ণ মানবিক কারণ বিবেচনায় নিয়ে মেডিকেল টিমের পরামর্শ অনুযায়ী উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আমরা উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

সাবেক আমলা যারা বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন- এ এস এম আব্দুল হালিম, মো. আবদুল কাউয়ুম, মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ, সৈয়দ সুজাউদ্দিন আহমেদ, মো. আব্দুর রশীদ সরকার, ইকতেদার আহমেদ, কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ইসহাক মিয়া, প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিজন কান্তি সরকার, এ কে এম জাহাঙ্গীর, এ বি এম আব্দুস সাত্তার, মকসুমুল হাকিম চৌধুরী, তপন চন্দ্র মজুমদার, আখতার আহমেদ, মো. আবদুজ জাহের, আফতাব হাসান, মো. আবদুল বারী, এস এম শমসের জাকারিয়া, মুন্সি আলাউদ্দিন আল আজাদ, এ এইচ এম মোস্তাইন বিল্লাহ, ড. মো. আব্দুস সবুর, ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, মো. আতাউল হক মোল্লা, ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া, এম এম সুলতান মাহমুদ, মো. আব্দুল খালেক, বশীর উদ্দীন আহমেদ, মো. নবীউল হক মোল্যা, মো. ফিরোজ খান নুন, শেখ মো. সাজ্জাদ আলী, মো. মেজবাহুন্নবী, মো. মনসুর আলম, বাহারুল আলম, মোহাম্মদ মাজেদুল হক, মো. ওয়াছিম জাব্বার, এ কে এম মাহফুজুল হক, কাজী মেরাজ হোসেন, কাজী ইমদাদুল হক, মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী, মো. শেফাউল করিম, মো. খান সাইদ হাসান, মো. বকতিয়ার আলম, মোহাম্মদ মসিউর রহমান, আব্দুর রহিম মোল্লা, শহীনুল ইসলাম, মো. এমদাদুল হক, মো. জামাল হোসেন মজুমদার, মো. শফিক আনোয়ার, জগন্নাথ দাস খোকন, মো. আব্দুল মান্নান, মো. আফতাব আলী, খন্দকার মো. মোখলেছুর রহমান, মো. তৌহিদুর রহমান, মো. আব্দুল্লাহ্-আল-বাকী, মো. ফেরদৌস আলম, মোহা. আবুল কালাম আজাদ, মো. ফজলুল করিম, মো. আবু তালেব, মো. আমিনুল ইসলাম, এ বি এম সিরাজুল হক, ড. মো. ফেরদৌস হোসেন, মো. গিয়াস উদ্দিন মোগল, মো. আফজল হোসেন, মো. জাকির হোসেন কামাল, মঞ্জুর মোর্শেদ চৌধুরী, সৈয়দ লোকমান আহমেদ, মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী, ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ভূঁইয়া, মো. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মো. ইলিয়াস, মো. ওবায়দুর রহমান খান, মো. সামসুল আলম, মোহাম্মদ শোয়েব আহম্মদ, তপন কুমার সাহা, মো. আব্দুল মতিন, মো. আব্দুল মান্নান পিপিএম, কাজী মোরতাজ আহমেদ, জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, এস এম মনিরুল ইসলাম, এম আকবর আলী।

এছাড়া এ. কে এম ইহসানুল হক, ড. মো. সুরাতুজ্জামান, মো. দেলোয়ার হোসেন মিঞা, শেখ ওমর ফারুক, এম মাহবুব আলম, মুহম্মদ শহীদুল্যাহ্ চৌধুরী, মো. তাজুল ইসলাম মিয়া, মো. আব্দুর রহিম, মো. আলী হোসেন ফকির, আলী আকবর খান, ড. মো. নাজমুল করিম খান, এ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম জাহিদ, তারেকুল ইসলাম (মঈন), গাজী মোহাম্মদ ইব্রাহীম, মো. হুমায়ুন কবির, মো. আবুল কালাম আজাদ, মো. আজিজুল ইসলাম, ডা. এ কে এম মহিউদ্দিন ভূইয়া, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, মাহফুজুল ইসলাম, কৃষিবিদ কাজী জাহাঙ্গীর কবির, জালাল উদ্দিন আহমেদ, গোলাম মরতোজা, ড. মো. জিয়াউল ইসলাম মুন্না, মো. জাহিদুল ইসলাম সুমন, মো. রকিব উদ্দিন, মো. জাকির হোসেন জামাল, মো. শরিফুল ইসলাম, কামরুল হোসেন, মিসেস মাহফুজা আক্তার, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. সফিউল আহাদ সরদার, মাহবুব আল জাহান (লিটন), মনিরুজ্জামান খান, সায়িদ আহমদ (সাইক্লোন), মোহাম্মদ নাছির খান, মোহাম্মদ হারুন আর রশিদ, মো. ওয়ালিদ হোসেন, মো. আলমগীর আলম, মো. মহিবুল হক, তালুকদার সামছুর রহমান, মো. গোলাম মোস্তফা, মো. আব্দুল আলিম, মো. শাহবুদ্দীন, সৈয়দ মোহাম্মদ হোসাইন, প্রকৌশলী মো. হানিফ, কে এম তৌহিদুল ইসলাম, এম মোরশেদুল করিম, মো. ফজলুল হক, এস এম কামাল হোসেন, অধ্যাপক ডা. খন্দকার জিয়াউল ইসলাম জিয়া, মো. আলিউর রেজা, মো. আখতারুল আলম, এ এম সাইফুল হাসান, মো. মহব্বত হোসেন, মো. আজহারুল ইসলাম, এ কে এম মাসুদুল আলম, এ জি এম মীর মশিউর আলম, আনসার উদ্দিন খান পাঠান, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল, মো. রায়হান ইবনে রহমান, মো. আবদুল হালিম মিঞা, মো. মনিরুল ইসলাম, মো. গাউস-উল-আজম চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, মোহা. ফজলুর রহমান, মো. মাহবুব উল আলম, এ কে এম ফজলুজ্জোহা, মহিউদ্দন আহমেদ, মো. আব্দুর রহমান খান, মো. আব্দুল হাই, মুহাম্মদ সামসুল আলম, মো. মোজাহার হোসেন, আবুল কাসেম মো. বোরহানউদ্দীন, মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান ভূইয়া, আমিনুল ইসলাম, দিলদার আহমেদ, মো. ছগির হোসাইন, মো. আমিনুল হক, মুহাম্মদ ইউনুস হাসান, গোলাম মোস্তফা সরকার, প্রফেসর সেখ মোস্তাহিদুন আলম, মো. আঃ মান্নান সরকার, জিন্নতুল ফেরদৌস আরা, মীর শাহ আলম।