আনারকে বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়: পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি

কলকাতার নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটে প্রবেশের পরপরই বাংলাদেশের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারকে বালিশ দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এমনটাই দাবি করেছেন পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি’র এক কর্মকর্তা।

ওই কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন যে, নেপালে গ্রেপ্তার হওয়া মোহাম্মদ সিয়াম হোসেন জিজ্ঞাসাবাদের সময় স্বীকার করেছেন যে একজন নারী বাংলাদেশি রাজনীতিবিদকে শ্বাসরোধে অন্যদের সাহায্য করেছিলেন। ওই নারী মার্কিন নাগরিক এবং মামলার প্রধান আসামি আখতারুজ্জামানের বান্ধবী বলে জানা গেছে।

সিআইডি কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন- ‘এমপিকে হত্যা করার পরে অভিযুক্তরা তার দেহকে কয়েকটি ছোট টুকরো টুকরো করে প্লাস্টিকের ব্যাগে রাখে এবং তারপর গা ঢাকা দেয়ার আগে নিউ টাউনের বিভিন্ন গোপন আস্তানায়, বাগজোলা খালে ফেলে দেয়। ‘তিনি আরও দাবি করেছেন যে আনারের শরীরের কিছু অংশ ট্রলি স্যুটকেসে রেখে বাংলাদেশ-বনগাঁ সীমান্তের কাছে কোথাও ফেলে দেয়া হয়েছিল।

এদিকে গোয়েন্দারা এমপি’র শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সন্ধানে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। উত্তর কলকাতার বরানগরের বাসিন্দা এবং বাংলাদেশি রাজনীতিকের পরিচিত গোপাল বিশ্বাস ১৮ই মে স্থানীয় পুলিশের কাছে আনারের নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করার পর ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। তিনি বলেন, এমপি ১২ই মে শহরে এসেছিলেন। গোপাল বিশ্বাস উল্লেখ করেছেন যে আনার ১৩ই মে বিকালে ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য তার বরানগরের বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন এবং রাতে তার বাড়ি ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু তিনি অবশ্য ফিরে আসেননি। আনার কলকাতায় আসার পর গোপাল বিশ্বাসের বাসায় ওঠেন। গত ৯ই জুন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সিআইডি দক্ষিণ ২৪পরগণা জেলার একটি খালের কাছে মানুষের হাড়ের কিছু অংশ উদ্ধার করে।
বিজ্ঞাপন
সিয়ামের পাশাপাশি লাশ কাটা কসাইকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি।

মামলার প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আনারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আখতারুজ্জামান অপরাধে জড়িতদের প্রায় ৫ কোটি টাকা দিয়েছেন।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে