কালবৈশাখীর প্রভাবে দিনের বেলায় রাতের আঁধার

শাওন ইমতিয়াজ:প্রতিদিনের স্বচ্ছ আকাশটা বিক্ষিপ্ত কালো মেঘে আচ্ছন্ন। মেঘের ফাঁক গলে কখনো কখনো দেখা গেছে সূর্যকিরণ। কিন্তু অল্পক্ষণেই পাল্টে যায় এ দৃশ্য। ভয় জাগানো কালো মেঘে গিলে খায় পুরো আকাশ। একইসঙ্গে ঝড়ো হাওয়ার তীব্রতায় প্রায় সবকিছু লন্ডভন্ড হওয়ার উপক্রম। চলতি বৈশাখের মঙ্গলবারের এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকায়। এ সময় ফাঁকা সড়কে কিছু সংখ্যক গাড়ি হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা শেখ হারুনুর রশিদ জানান, বিকেল ৩টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় পতেঙ্গায় ২০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩৮ নটিক্যাল মাইল। কালবৈশেখী ঝড় ও বৃষ্টি হচ্ছে চট্টগ্রামে। কিছু সময় পর এটি আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তিনি জানান, নদী বন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) কালবৈশাখীর প্রভাবে চট্টগ্রামসহ দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে। তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।

আবহাওয়া অধিদফতরের তরফে সোমবার (২০ এপ্রিল) দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এক পূর্বাভাসে বলা হয় এক্ষেত্রে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠে যেতে পারে। আগামী তিনদিন বৃষ্টিপাত অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া রাঙামাটি, রাজশাহী ও যশোর অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে।

একইসঙ্গে ঝড়ো হাওয়ার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় দেশের অধিকাংশ অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।