মমতার উদ্যোগে নির্মিত হলো মিউজিক ভিডিও

পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে নির্মিত হলো করোনা সচেতনতায় একটি মিউজিক ভিডিও। এটির শিরোনাম ‘এই বাংলা আমার হাসবে আবার’। নির্মাণ করেছেন রাজ চক্রবর্তী। এই মিউজিক ভিডিও ঘরবন্দি মানুষকে আবার হাসিখুশি তিলোত্তমায় ফিরিয়ে নিয়ে গেল। রাজ চক্রবর্তী যে শুধু সেলিব্রিটিদের গান গাইয়ে বা অভিনয় করিয়ে থেমে থেকেছেন, তা নয়। ভিডিওর শেষে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বার্তাও। বাংলার মানুষের জন্য কয়েক পক্তি কবিতাও আবৃত্তি করেছেন তিনি। করোনা পরিস্থিতিতে আজ গোটা বিশ্ব ম্রিয়মাণ।
কিন্তু এই পরিস্থিতি থাকবে না। কেটে যাবে গুমোট এই অবস্থ। ভিডিওতে সেই বার্তাই দিয়েছেন পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। তার ক্যামেরায় উঠে এসেছে ভিক্টোরিয়া, ধর্মতলা, পাড়ার মোড়ের চায়ের দোকান, ময়দান, মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল…। গান শুরুই হয়েছে আশার কথা শুনিয়ে- ‘দেখে নিও ঠিক, সেরে যাবে সব, কেটে যাবে ভয়, সবার।’ গলা মিলিয়েছেন যিশু সেনগুপ্ত ও আবির চট্টোপাধ্যায়। এরপরই চেনা পরিচিত কলকাতার টুকরো ছবিতে ফিরে গিয়েছেন রাজ। ঋত্বিক, অনির্বাণ বলেছেন, পাড়ার মোড়ে আবার ভিড় জমবে। তবে তার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাহলেই ‘এই বাংলা আমার হাসবে আবার’। কী নিয়ম? গানে তাও বিস্তারিত বলেছেন রাজ। মাস্ক পরতে হবে। থাকতে হবে বাড়িতে। বাইরে বের হওয়া একেবারে মানা। তাহলেই করোনা যুদ্ধে জয়ী হবে বাংলা। বাঙালি আবার ফিরে যাবে আবেগময় ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের আবেগময় দ্বন্দ্বে। পাড়ার মোড়ে মাটির ভাঁড়ে বিক্রি হবে চা। মোগলাইয়ের দোকানে লাইন পড়বে। পাড়ার গলিতে ব্যাট হাতে ক্রিকেট খেলতে নামবে কিশোররা। জমে উঠবে চায়ের কাপে তুফান তুলে রাজনীতির আলোচনা। ফিরবে সব পুরনো চিত্র। সাদাকালো বাংলা আবার রঙিন হবে। ব্যস্ত হবে হাওড়া ব্রিজ, দুর্গাপুজোয় ঢাকে কাঠি পড়বে। জমে উঠবে আটপৌরে শাড়ি পরে বঙ্গলনাদের ধুনুচি নাচ। ভিডিওতে এসবেরই কোলাজ দিয়ে কলকাতার ছবি এঁকেছেন পরিচালক।
ভিডিওতে যেমন দেখা গিয়েছে যিশু সেনগুপ্ত, আবির চট্টোপাধ্যায়, ঋত্বিক চক্রবর্তী, পরমব্রত, বনি, অঙ্কুশ, অনির্বাণকে; তেমনই রয়েছেন পাওলি দাম, শুভশ্রী, শ্রাবন্তী, নুসরত, সায়ন্তিকা। পরমব্রত ও সায়ন্তিকাকে ভিডিওতে গিটার বাজাতে দেখা গিয়েছে। ড্রাম বাজিয়েছেন যিশু। কণ্ঠ দিয়েছেন নিকিতা গান্ধী ও শাশ্বত সিংহ।