টেকনাফ সীমান্তে অস্ত্র ও মাদককারবারীদের দৌরাত্ম

শামসু উদ্দীন, টেকনাফ:
নির্বাচনকে সামনে রেখে টেকনাফ সীমান্তের অস্ত্র ও মাদককারবারী সিন্ডিকেটর সদস্যের দৌরাত্ম বৃদ্ধি লক্ষ করা গেছে। চলতি মাসে আইনশৃংখলা বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও ইয়াবা সহ আটক হয়েছে অনেকে। গত ২২ মে র‌্যাবের একতটি সাঁড়াশি অভিযানে ফের অস্ত্র-কার্তুজ ও ইয়াবাসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন হ্নীলা উলুচামরী এলাকার সোনা মিয়ার পুত্র মোঃ রুবেল (২৩) ও টেকনাফ সদর ইউপির ৭নং শীলবনিয়া পাড়ার ছৈয়দ আলমের পুত্র মোঃ আরমান (২৪)।
সূত্রে জানা যায়, টেকনাফে র‌্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল পৃথক অভিযান চালিয়ে গত ২২মে সকাল সোয়া ৫টারদিকে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর (সিপিসি-২) হোয়াইক্যং ক্যাম্পের চৌকষ একটি আভিযানিক দল টেকনাফের হ্নীলা ইউপির উলুচামরী এলাকায় এক মাদক কারবারী মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অবস্থানের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে। এসময় পালিয়ে যাওয়ার সময় ধাওয়া করে উলুচামরী এলাকার সোনা মিয়ার পুত্র মোঃ রুবেল (২৩) কে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে বসত-ঘরের লাকড়ির স্তুপের নিচে মজুদ করে রাখা ১টি একনলা বন্দুক এবং ৬রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। সে অবৈধ অস্ত্র নিজ দখলে রেখে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল।
অপরদিকে,গত ২২মে দুপুর দেড়টায় কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর (সিপিসি-২) হোয়াইক্যং ক্যাম্পের চৌকষ আরেকটি আভিযানিক দল উপজেলার হ্নীলা রঙ্গিখালী এলাকায় কয়েকজন ব্যক্তি মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য অবস্থানের খবর পেয়ে অভিযানে যায়। এসময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে টেকনাফ সদর ইউপির ৭নং শীলবনিয়া পাড়ার ছৈয়দ আলমের পুত্র মোঃ আরমান (২৪) কে ১টি শপিং ব্যাগসহ আটক করতে পারলেও অপর ১জন সহযোগী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত ব্যক্তির হাতে থাকা শপিং ব্যাগ তল্লাশী করে ৪০হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবু সালাম চৌধুরী জানান,পৃথক অভিযানে উদ্ধারকৃত অস্ত্র-কার্তুজ ও ইয়াবাসহ গ্রেফতারকৃত এবং পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত এজাহার দাখিলের পর ধৃতদের টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।