সিরিজ জয়ে টাইগারদের প্রয়োজন ১৯৯ রান

একদিকে মিরাজ-সাকিব-মাশরাফিদের আঘাত, অপরদিকে মাটি কামড়ে রাখলেন শাই হোপ। সেই সুবাদে পরপর দ্বিতীয় ম্যাচে পেলেন সেঞ্চুরি। সেই হোপের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৯ উইকেটে ১৯৮ রানের বেশি করতে পারেনি। তাই সিরিজ জিততে বাংলাদেশকে এখন ১৯৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে হবে।

চলমান তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে টস জিতে ক্যারিবীয়দের ব্যাটিংয়ে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা। বোলিংয়ে নেমে চতুর্থ ওভারেই উইন্ডিজের ব্যাটিং লাইনে আঘাত হানেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তার অফ স্টাম্পের বল ব্যাকফুটে গিয়ে কাট করতে গিয়ে মিঠুনের হাতে ধরা পড়েন হেমরাজ (৯)। তাই ১৫ রানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপেনিং জুটি ভাঙে। দলীয় ৫৭ রানে ড্যারেন ব্রাভোকে বোল্ড করে ক্যারিবীয় শিবিরে দ্বিতীয় আঘাত হানেন মিরাজ। তার মিডল স্টাম্পের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে (১০) বোল্ড হয়ে যান।

দলীয় ৯৬ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান সাইফ উদ্দিন। ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে স্যামুয়েলসকে (১৯) বোল্ড করে পাঠিয়ে দেন সাজঘরে। এরপর ক্রিজে আসেন শিমরন হেটমায়ার। তার উইকেটে আসায় পরের ওভারে মিরাজকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক মাশরাফি। কোনো রান করার আগেই মিরাজের তৃতীয় শিকারে পরিণত হন হেটমায়ার।

দলীয় ৯৭ রানে চতুর্থ উইকেট হারানোর পরবর্তী দুই রানের মধ্যেই আউট হয়ে যান রোভম্যান পাওয়েল। সেই মিরাজের ব্যক্তিগত চতুর্থ শিকারে পরিণত হন তিনি। আর দলীয় ১৩৩ রানে রোস্টন চেজকে ফিরিয়ে দেন সাকিব। এর ৬ রানের ব্যবধানে তিনি দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন। সাকিবের পরই জোড়া আঘাত হানেন মাশরাফিও। কিমো পল ও কেমার রোচকে পরপর ফিরিয়ে দেন তিনি।

একদিকে আসা-যাওয়ার পালা চললেও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত একপ্রান্ত আগলে রাখেন হোপ। ৯টি চার ও একটি ছক্কার মারে ১৩১ বলে ১০৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন তিনি। এর আগে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকাতেও সেঞ্চুরি করে ক্যারিবীয়দের ম্যাচ জেতান হোপ। অপরদিকে দেবেন্দ্র বিষু অপরাজিত থাকেন ৬ রান করে।

মিরাজ মাত্র ২৯ রানের ব্যবধানে চারটি উইকেট নেন। এটি ওয়ানডেতে তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এছাড়া সাকিব ও মাশরাফি দুটি করে উইকেট নেন। আর বাকি এক উইকেট নেন সাইফ উদ্দিন।

এর আগে মিরপুর স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডেতে ৫ উইকেটে জয় পায় বাংলাদেশ। একই মাঠে পরের ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতে যায় ৪ উইকেটে। তাতে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ফেরে সমত। তাই আজকের ম্যাচ অঘোষিত ফাইনাল।