অপেক্ষার প্রহর গুণছে ডিম সংগ্রহকারীরা

মো.মহিন উদ্দীন::
প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন ক্ষেত্র প্রস্তুত হালদা নদী ডিম সংগ্রহকারীরা নৌকা ও জাল নিয়ে ডিম সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত । ১৮ এপ্রিল শনিবার রাত ৯টার দিকে দমকা হাওয়া ও হালকা বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাত হলে ডিম সংগ্রহকারীরা নৌকা ও জাল নিয়ে হালদা নদীতে প্রস্তুত।

ডিম সংগ্রহকারীদের সাথে কথা বলে জানান,হালদা নদীতে মা মাছের আনা গোনা বাড়ায় তারা নদীতে নৌকা ও জাল নিয়ে অপেক্ষা করছে কখন বজ্র বৃস্টি হবে আর মা মাছ ডিম ছাড়বে তার জন্য। এখন যে কোনো মুহূর্তে হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে বলে আশা করছেন ডিম সংগ্রহকারীরা ।

বর্তমানে শত শত ডিম সংগ্রহকারী নৌকা জাল নিয়ে হালদা নদীর গড়দুয়ারা, মার্দ্রাসা, দক্ষিন মার্দ্রাসা, আমতুয়া, রামদাশ হাট, মাছুয়া ঘোনা, মেখল, মার্দাসা, দক্ষিন মার্দাসা এবং রাউজানের অংকুরি ঘোনা, পশ্চিম বিনাজুরী, কাগতিয়া, গোলজার পাড়া, কাশেম নগর, আজিমের ঘাট, মগদাই, খলিফার ঘোনা, পশ্চিম আবুরখীল, মইশকরম, সার্কদা, মোকামী পাড়া, কচুখাইন, এলাকায় ডিম সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত।

হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ার মৌসুমে ডিম সংগ্রহকারীরা নদীর তীরে পুর্ব থেকে মাটির কুয়া খনন করে রেখেছেন। ডিম সংগ্রহ করার পর মাটির কুয়ায় ডিম থেকে রেনু ফোটানোর জন্য সব রকম প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে ।

উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা এ প্রতিবেদক কে জানান, এখন যে কোনো সময় হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে । প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে প্রতি বছরের ২০ এপ্রিল থেকে ২০ মে পর্যন্ত সময়ে মা মাছ ডিম ছাড়ে। হালদা নদীর তীরবর্তী হাটহাজারী, রাউজান এলাকার মৎস্যজীবি, জেলে, ডিম সংগ্রহকারীরা হালদা নদী থেকে মা মাছের ডিম সংগ্রহ করে। নদী থেকে সংগ্রহ করা ডিম নদীর তীরে মাটির কুয়ায় রেখে ও সরকার কর্তৃক নির্মিত হ্যাচারিতে ডিম থেকে রেনু উৎপাদন করা হয়। হালদা নদীর মা মাছের ডিম থেকে উৎপাদিত রেনু দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৎস্যজীবি, মৎস্য খামারীরা ক্রয় করে নিয়ে যায়। তিনি জানান, হালদা নদীতে সবচেয়ে রুই, মৃগেল, কালিবাউশ মাছ ডিম ছাড়ে বেশি।