হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত, ঝিনাইদহ-১ আসনের নির্বাচনে বাধা কাটল

জাতীয় সংসদের ঝিনাইদহ-১ শূন্য আসনের উপ-নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে এক প্রার্থীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (০৮ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

ফলে নির্বাচন হওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। আগামী ৫ জুন নির্বাচনের জন্য তারিখ নির্ধারিত রয়েছে।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা, শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও বি এম ইলিয়াস কচি। অন্যপক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব।

এর আগে এক আবেদনে ৬ মে বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ ২১ দিনের জন্য নির্বাচন স্থগিত করেন। পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো. নায়েব আলী জোয়াদ্দার।

৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এতে অনিয়মের অভিযোগ এনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেন।

গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিবাদীদের নোটিশ ইস্যু করে গেজেট স্থগিত করেন। পরে অবশ্য আপিল বিভাগ গেজেট স্থগিতের আদেশ স্থগিত করেন। এর মধ্যে আব্দুল হাই ইন্তেকাল করেন।

নজরুল ইসলাম দুলালের আইনজীবীর দাবি, নিয়ম হলো বিজয়ী প্রার্থী মারা গেলে আবেদনকারীকে বিজয়ী ঘোষণা করা। সেটা না করে নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে সম্পূরক আবেদন করায় ৬ মে হাইকোর্ট ২১ দিনের জন্য এ নির্বাচন স্থগিত করেছিলেন।

এর আগে, গত ২৩ এপ্রিল নির্বাচন ভবনে ৩২তম কমিশন সভা শেষে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম জানান, আগামী ৫ জুন ঝিনাইদহ-১ শূন্য আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে হিসাবে মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ সময় ৭ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭ মে। রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

এ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই। অসুস্থ হয়ে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলেন তিনি। গত ১৬ মার্চ সেখানেই তার মৃত্যু হয়। এতে ঝিনাইদহ-১ শূন্য হয়।