আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যৌথ সভায় মাহবুবের রহমান শামীম 

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, বর্তমান ডামি সরকারের অধীনে প্রহসনের উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করবে জনগণ। এই নির্বাচন সরকারের একটি সাজানো ফাঁদ। ৭ জানুয়ারির একতারফা ডামি নির্বাচন জনগণ বর্জন ও প্রত্যাখ্যান করায় সরকারের গ্রহনযোগ্যতা তলানীতে যেয়ে ঠেকেছে। এখন দলীয় মার্কা ছাড়া উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী সংখ্যা বাড়িয়ে সাজানো পাতানো নির্বাচন আয়োজন করে গ্রহণযোগ্যতা আনার অপচেষ্টা করছে। একবার মার্কা দিয়ে, আরেকবার মার্কা ছাড়া নির্বাচন এসব আওয়ামী লীগের কর্তৃত্ববাদী শাসনের পরিচয় বহন করে। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র ও নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে চরম ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন কায়েম করেছে। আওয়ামী লীগের অধীনে স্থানীয় বা জাতীয় কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি। তিনি রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে দোস্ত বিল্ডিংস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির যৌথ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার ও ভিপি হারুনুর রশীদ। মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা জনগণকে বিভ্রান্ত করতে প্রতিদিন মিথ্যাচার করছে। নিজেদের দোষ অন্যের ঘাড়ে চাপিয়ে নিজেরা সাধু সাজতে চান। অথচ দাসত্ব ও তাঁবেদারীর কলঙ্কের তীলক আওয়ামী লীগের কপালেই লেগে আছে। বিদেশীদের স্বার্থ রক্ষায় আওয়ামী লীগ তাঁবেদারী করছে। জনগণ ছাড়া, ভোট ছাড়া ক্ষমতা দখল করে রেখেছে। তাই দেশের জনগণ চায় আন্দোলনের মাধ্যমে অতি দ্রুত এ সরকারের পতন হোক এবং জনগণের ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করা হোক। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জালাল উদ্দীন মজুমদার বলেন, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় দেশজুড়ে যে হরিলুট চলছে, তারই প্রতিফলন হচ্ছে পাহাড়ে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাম্প্রতিক সময়ের ব্যাংক ডাকাতি। সরকারের ঘনিষ্টজনদের সীমাহীন দুর্নীতি ও টাকা পাচারের ঘটনা দেখে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী উৎসাহিত হয়ে পাহাড়ে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ঘটাচ্ছে। ভিপি হারুনুর রশীদ বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয়না। সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হতে পারে কিন্তু সার্বিকভাবে কখনোই ব্যর্থ হয় নাই। জনগণের আন্দোলনের মুখে কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার টিকে থাকতে পারে নাই। এই সরকারও পারবে না। সভাপতির বক্তব্যে আবু সুফিয়ান বলেন, সংবিধানের কাজ হচ্ছে মানুষের অধিকার নিশ্চিত কর। আজকে সরকার সংবিধানের সব কিছু লঙ্ঘন করেছে। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সংবিধান যা যা সুরক্ষা দিয়েছে, সবকিছু তারা লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু ভোট চুরির বেলায় সংবিধানের দোহাই দিচ্ছে। ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকছে। এনামুল হক এনাম বলেন, ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থাকে কুক্ষিগত করে রেখেছে সরকার। প্রতিটি ক্ষেত্রে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এতে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এড. আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, এড. নুরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, খোরশেদ আলম, মফজল আহমদ চৌধুরী, ভিপি মোজাম্মেল, মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী জাহেদ, ইসহাক চৌধুরী, হামিদুল হক মান্নান চেয়ারম্যান, নূরুল কবির, মঈনুল আলম ছোটন, এস এম সলিম উদ্দিন খোকন চৌধুরী, মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মনজুর উদ্দিন তালুকদার, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিন, ছাত্রদলের আহ্বায়ক রবিউল হোসেন রবি, সদস্য সচিব কামরুদ্দিন সবুজ, জাসাসের আহ্বায়ক জসীম উদ্দীন চৌধুরী, সদস্য সচিব নাসির উদ্দীন, মহিলা দলের সভাপতি জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী রিকু, বোয়ালখালী পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক শহীদুল্লাহ্ চৌধুরী, বাশখালী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব রেজাউল হক চৌধুরী, দোহাজারী পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব বাবু খাঁন, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম, হাসান চৌধুরী, আবু্ল কালাম আবু, ইলিয়াস কাঞ্চন, শফিকুল ইসলাম রাহী, আবুল কাশেম, আবদুল মাবুদ, আবদুল হালিম, মো. শাহজাহান, মো. শাহ আলম, এড, শওকত ওসমান, আফিল উদ্দীন, জেলা তাতী দলের সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিন, কৃষক দলের সি. যুগ্ম আহ্বায়ক মীর জাকের আহম্মদ, শফিউল করিম শফি, যুবদল নেতা তরিকুল ইসলাম টুটুল, রাসেল চৌধুরী, অহিদুল আলম চৌধুরী পিবলু, আবু ছালেক মুন্না, শ্রমিকদল নেতা শাখাওয়াত হোসেন, ছাত্রদলের সি. যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফিরোজ, যুগ্ম আহবায়ক আসাদুজ্জামান সাজ্জাদ, আবদুস সবুর, এস এম নয়ন, ফরহাদুল ইসলাম, রাশেদুল কবির, নুর শাহেদ খান রিপন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোনায়েম খাঁন, এহসানুল হক পারভেজ, মাহাবুবুল আলম পারভেজ প্রমূখ।