প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে দেশে নারীর ক্ষমতায়ন পৃথিবীর সামনে একটি উদাহরণ: পররাষ্ট্র মন্ত্রী

    শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের পলোগ্রাউন্ড মাঠে চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ১৪তম আন্তর্জাতিক উইম্যান এসএমই এক্সপো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশে নারীর যে ক্ষমতায়ন হয়েছে সেটি পৃথিবীর সামনে একটি উদাহরণ বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

    ১৪তম আন্তর্জাতিক উইম্যান এসএমই এক্সপো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশে নারীর যে ক্ষমতায়ন হয়েছে গত ১৫ বছরে সেটি পৃথিবীর সামনে একটি উদাহরণ। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান সমগ্র পৃথিবীতে পঞ্চম। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের অবস্থান দ্বিতীয়, অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ার পরে আমাদের অবস্থান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার নারী, রেকর্ড সংখ্যক নারী মন্ত্রী সভার সদস্য। এছাড়া আমাদের স্থানীয় সরকার পর্ষদে ত্রিশ ভাগ আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিত। আজ থেকে ১০বছর আগেও কেউ ভাবেনি জেলার ডিসি, এসপি, উপজেলার বিপুল সংখ্যক ইউএনও নারী হবে। নারী মেজর জেনারেল হয়েছে, নারী হাইকোর্টের জাস্টিস, এফিলিয়েট ডিভিশনের জাজও হয়েছে।
    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা শুধু স্বপ্ন দেখাননা, স্বপ্নের বাস্তবায়নও করেন। আজকে বাংলাদেশ পৃথিবীর সামনে উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পূনর্গঠন করে দেশকে যখন উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। আমাদের যে ধাবমান চাকা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এগিয়ে চলছিল, সেই চাকাকে ঘুর্ণায়মান চাকায় রূপান্তর করা হয়। ২১ বছর দেশ এক জায়গায় ঘুরপাক খেয়েছে। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা সরকার গঠন করার পর দেশ আবার এগিয়ে যাওয়া শুরু করে। বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবার ১৯৯৯সালে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়। এটি যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা ঘোষণা করেন, তখন বিএনপির সাইফুর রহমানসহ অনেকে বলেছিল খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ ঘোষণা করা ভালো না। তাহলে বিদেশি সাহার্য্য পাওয়া যাবেনা।
    যারা আজকে লম্বা লম্বা কথা বলেন, তারা নারীদের উন্নয়নের জন্য কি করেছিল এমন প্রশ্ন রেখে ড. হাছান বলেন, বিএনপি-জামাত যখন ক্ষমতায় ছিল তারা নারী উন্নয়নের জন্য কিছু করেনি, তারা নারীদেরকে পিছিয়ে রেখেছিল। আজকে নারীদের উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। সবাই মিলে দেশটাকে গড়তে হয়। দেশ গড়ার দায়িত্ব প্রত্যেকটি নাগরিকের। শুধু সরকার করে দিবে এই মানসিকতা থাকলে দেশ কখনো এগিয়ে যায় না।
    ভারতের গরু চোরাকারবারিরাও দেশ প্রেমিক উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ভারত থেকে যে এত গরু আসে কোন সময় একটা ষাঁড় কিংবা গাভি তারা পাঠায় না, সবগুলো বলদ গরু পাঠায়, যেগুলো নির্জিব, প্রজনন করতে পারেনা। কারণ সেগুলো পাঠালে এখানে প্রজন্ম তৈরী হবে, ওখান থেকে আর গরু আসবে না। আর আমরা সেটা মাথায় রাখিনা। সুতরাং সবাই মিল দেশটাকে গড়ে তুলতে হবে। এবং সেই দেশ গড়ার ক্ষেত্রে উইম্যান চেম্বার বলিষ্ট ভুমিকা রাখতে পারে।

    চিটাগাং উইম্যান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী’র সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এমপি।
    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে গত ১৫বছর যে অভুতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তার সাক্ষি আজকে চট্টগ্রাম। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এবছর আমরা বর্ষপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছি হস্তশিল্পকে। এসএমই এবং নারী উদ্যোক্তারা এই বর্ষপণ্যটাকে গ্রাম থেকে শহরে, শহর থেকে সারাদেশে এবং ই-কমার্সের মাধ্যম সারাবিশ^ব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমরা ‘একটি গ্রাম একটি পণ্য’ এই স্লোগানে সারা বাংলাদেশ থেকে গ্রাম পর্যায়ে যে হস্তশিল্পগুলো আছে, সেগুলোকে বাছাই করে তাদেরকে প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহযোগীতার মাধ্যমে