অবশেষে তুমি এলে : নিধু ঋষি

অবশেষে তুমি এলে
নিধু ঋষি

চৈত্রের দাবানলে উত্তাপ পাহাড়, নদী
চারদিকে গরমের তীব্র তাপে পুড়ছে মন
অশান্ত সময় কাটছে না, বিড়ম্বনাময় ভাবনাগুলো
থমকে দিয়েছে সময় এবং দুরন্তচিত্তের ভালবাসাকে!

শহরের অলিগলিতে চাই অফুরন্ত বৃষ্টি
যদি এক পশলা বৃষ্টি ঝড়ে যায়
তবে বুঝে নিবো আমার নগরীতে বৈশাখের
আগমন ঘটেছে, অনেকটায় তুমি আসার মতোই

পিপাসিত বুকের জমিনে প্রতিক্ষিত!
দীর্ঘদিবস বসন্ত ফুরিয়েছে তুমি আসবে বলে
প্রদীপের আলোক রশ্মি জ্বালিয়ে রেখেছি তুমি আসবে বলে!
রংতুলির মাধুরীতে উঠান সাঁজিয়ে রেখেছি তুমি আসবে বলে!

অবশেষে বৈশাখ তুমি এলে বলেই

নতুন উৎসবের আয়োজনে ধান কাটা শেষে
কৃষকের ঘরে, ঘরে ধুম পড়েছে বিন্নিধানের খই
চিড়া, নাড়ু, পিঠার সাত রঙিন আনন্দে মাতোয়ারা
গ্রাম বাংলার সোনালী প্রান্তর আজ বৈশাখের মেলা

প্রকৃতির সবুজ সমারোহে বাবার ঘরে মেয়ে জামাই
মিষ্টান্নের স্বাদে পাড়া প্রতিবেশীর গৃহে
এই যেন বাঙালীর চিরচেনা বৈশাখের জোয়ার মন ভরে গেছে
বৈশাখ তুমি আছো, তুমি রবে চিরকাল, যতদিন বাঙালী থাকবে।