সপ্তাহের ব্যবধানে আরও বাড়লো নিত্যপণ্যের দাম

নিত্যপণ্য, কাঁচাবাজার, মাছ-মাংস, এমনকি মসলাজাত পণ্যের দামে দীর্ঘদিন ধরেই হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। অস্থিরতা বেড়েই চলছে বাজারে। সরবারহে তেমন কোনো ঘাটতি না থাকলেও বেশিরভাগ পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। সপ্তাহের ব্যবধানেই দাম বেড়ে গেছে শাক-সবজিসহ বিভিন্ন নিত্যপণ্যের।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতোই উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে মাছ, চিনি, চাল, আটা ও ডাল। চলতি সপ্তাহে নতুন করে ঊর্ধ্বমুখী মাছ-মাংসের দাম। বিশেষ করে আলু-পেঁয়াজ ও ডিমের মতো নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে। বাড়তি দেখা গেছে আমদানি করা আদার ও রসুনের দামও।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে শাক-সবজির দাম। আলুর ছড়াছড়ি থাকলেও দাম কমছে না। ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে আলু। স্থানভেদে পাকা টমেটোর কেজি ৩৫-৪০ টাকা, করলা ৫৫-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০-৩৫ টাকা, বিভিন্ন জাতের বেগুন ৩০-৬০ টাকা, বরবটি ৬০-৬৫ টাকা, ২৫-৩৫ টাকা ও পটল ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

স্থানভেদে কাঁচামরিচ ৫০-৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা, ঝিঙা ৭০-৮০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৭০ টাকা, কচুর মুখী মানভেদে ৫০-৭০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শসা ৩০-৪০ টাকা ও কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা হালি।

বাঁজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে দেশি রসুন ১৬০-১৭০ টাকা ও আমদানি করা রসুনের কেজি ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদা আগের বাড়তি দামেই ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, গরুর মাংসের কেজি ৭৫০-৮০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি স্থানভেদে ২৩০ থেকে ২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সোনালি ও লেয়ার জাতের মুরগির কেজি স্থানভেদে ৩৪০ থেকে ৩৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস আগের মতোই ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে। অনেকটা একই দামে বিক্রি হচ্ছে চাষের কই ও তেলাপিয়া। আকারভেদে রুই-কাতলার দাম হাঁকানো হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি। দেশি শোল মাছ প্রতি কেজি ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা। আকারভেদে শিং মাছ ও বাইলা মাছ প্রতি কেজি প্রকারভেদে ৫০০-৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪০০, পাবদা মাছ ৩০০ থেকে ৫০০, মলা ৫০০, কাচকি মাছ ৬০০, বাতাসি টেংরা ৯০০, অন্য জাতের টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৭০০, পাঁচ মিশালি মাছ ৩০০, রুপচাঁদা ১ হাজার ও বাইম মাছ ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে।