কক্সবাজার সুগন্ধা পয়েন্টে উচ্ছেদ আতংক!

কক্সবাজার প্রতিনিধি।
কক্সবাজার শহরের সুগন্ধা পয়েন্টে বসবাসরত পরিবার ও হকারদের মধ্যে উচ্ছেদ আতঙ্ক বিরাজ করছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে যে কোন সময় উচ্ছেদ করা হতে পারে- এমন খবরে দুই শতাধিক ব্যবসায়ী ও দিনমজুর পরিবার উদ্বিগ্ন।
গত কয়েকদিন ধরে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: শাহরিয়ার মুক্তার ও বীচ কর্মীদের দেওয়া আল্টিমেটামের পর থেকে তাদের মাঝে নতুন করে আতঙ্ক ভর করেছে।
হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, বিগত ২০-৩০ বছর ধরে এস.আলমের প্লটে (বর্তমানে বাতিলকৃত) ছোটখাটো ব্যবসা প্রতিষ্টান করে জীবিকা নির্বাহ করছে। অনেকেই সেখানে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছে। কিন্তু হঠাৎ এ্যাসিল্যান্ড ও বীচ কর্মীরা সেখান থেকে তাদের উঠে যেতে জোর করছেন। তাই বর্ষা মৌসুমে ছোট ছোট বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে তারা কোথায় গিয়ে মাথা গুঁজাবে? প্রশ্ন তাদের।
কয়েকজন দিনমজুর আক্ষেপ করে জানিয়েছে, এখানকার বসবাসকারীদের অনেকেই দিনে এনে দিনে খায়। তাদের একমাত্র সহায় সম্বল সেখানকার ফুসের ঘর (কুঁড়ে ঘর)।
এখান থেকে চলে যেতে বাধ্য করা হলে তাদের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হবে। পুনর্বাসন না করে তাদের এভাবে উচ্ছেদ করা হবে খুবই অমানবিক।
নুরুল আলম ও আলা উদ্দিন নামের সেখানকার বসবাসকারী দুইজন দিনমজুর বলেন, ১২ নং প্লটে মোট ১ একর জমি ঝিনুক মার্কেটের জন্য বরাদ্দ করেছে শুনেছি। কিন্তু আশেপাশে বসবাসকারী দিনমজুর পরিবার সদস্যরা যারা ২০/৩০ বছর ধরে সেখানে বসবাস করছে তাদেরও উচ্ছেদ পাঁয়তারার হেতু কি?
সী ইন মার্কেটের সভাপতি ও ‘কড়াই’ রেঁস্তোরার স্বত্ত্বাধিকারী নুরুল আবছার বলরন, প্লট বাতিলের রায়ে উচ্ছেদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালত ৪টি শর্ত পূরণ করতে বলেছেন। উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ছাড়া কাউকে উচ্ছেদ না করার কথা। তাই উচ্ছেদের ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশনা মানা উচিত।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন বলেন, বীচ এলাকার পরিবর্তে অন্য স্থানে অস্থায়ী ভিত্তিতে ঝিনুক মার্কেট নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাছাই করা হচ্ছে। এখনো উচ্ছেদের নির্দিষ্ট কোন সময়সীমা দেওয়া হয়নি। প্রকৃত হকারদের তালিকা নির্ণয়ের পর উচ্ছেদ করা হবে।
তবে, সমুদ্র সৈকত এলাকায় শ্রীহীন কোন বসতি বা দোকানপাট থাকতে দেয়া হবে না বলেও জানান জেলা প্রশাসক।