পাহাড় থেকে সরানো হলো ৩৪ পরিবার

নগরের জালালাবাদ আবাসিক এলাকা সংলগ্ন মধু শাহ পাহাড়ে ‘মৃত্যুঝুঁকি’ নিয়ে বাস করা ৩৪টি পরিবারকে উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। এসময় ব্যক্তি মালিকানাধীন মধু শাহ পাহাড় দখল করে গড়ে উঠা একাধিক অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
রোববার (৭ জুলাই) পতেঙ্গা সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাহমিলুর রহমান, চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফোরকান এলাহী অনুপম, বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা আফরীন মোস্তফা এবং কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল ইসলাম এ উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোববার অভিযান চালিয়ে মধু শাহ পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা ৩৪টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ শেষে উদ্ধারকৃত জায়গা সংশ্লিষ্ট মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
হাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির তালিকা অনুযায়ী নগরের ১৭টি ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে ৮৩৫টি পরিবার বসবাস করছে। গত ১৬ মে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ১৯তম সভায় এসব পরিবারকে ১৫ জুনের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দেন বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান।

রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তির বাধা সত্ত্বেও রমজানে উচ্ছেদ অভিযানের প্রথম পর্যায়ে মতিঝর্ণা পাহাড়, বাটালী হিল, পোড়া কলোনি পাহাড় এবং একে খান পাহাড় থেকে মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে বসবাস করা ৩৫০টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হয়।

উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় পর্যায় শুরুর দিন গত ৩ জুলাই পরিবেশ অধিদফতর সংলগ্ন পাহাড় থেকে ৫০টি পরিবার উচ্ছেদ করা হয়। ১৭ জুলাই পর্যন্ত বাকী পাহাড়গুলোতে উচ্ছেদ অভিযান চালাবে জেলা প্রশাসন।