বৃষ্টিপাতের প্রভাবে শীতল পরশ অনুভূত হচ্ছে

“বৃষ্টি নেমেছে রিমঝিমরিম সুরের লহরী
নিঝুম রাতে,
বৃষ্টি নেমেছে কত স্মৃতি বুকে নিয়ে
উদাস করেছে এই রাত।

বৃষ্টি নেমেছে মনে পড়ে যায় আমার গাঁ
বৃষ্টি নেমেছে ঐ মাটির ভালোবাসায়,
বার বার শুধু ডাকে
ফিরে আয় আয় আয়।

স্মৃতির দুয়ার খুলে আমি
পায়ে চলেছি মেঠো পথে।
কাশবন আর ঐ নদীর বাঁকে
আমি সুর করি,
ঐ মাছরাঙা পাখির রঙে
আমি গান ধরি,
ঐ শিস দেয়া পাখির ডাকে।

স্মৃতির দুয়ার খুলে আমি
শুয়ে আছি কোন বটতলে।
নিঝুম আকাশে তারার হাসি
আমি সুর করি,
ঐ নিঝুম রাতের কোলে
আমি গান ধরি,
ঐ জেগে থাকা তারার ভাষায়।

বৃষ্টি নেমেছে রিমঝিমরিম সুরের লহরী
নিঝুম রাতে,
বৃষ্টি নেমেছে কত স্মৃতি বুকে নিয়ে
উদাস করেছে এই রাত।”

মির্জা ইমতিয়াজ শাওন:: শুক্রবার রাত থেকেই বৃষ্টিপাতের প্রভাবে শীতল পরশ অনুভূত হচ্ছে। বৃষ্টি ও মেঘলা আকাশের সৌজন্যে নামছে তাপমাত্রা| আগামী কয়েকদিন পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও আশপাশের এলাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আবহাওয়ার অফিস সূত্র জানিয়েছে আজ থেকে থেমে বৃষ্টিপাত ও আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো আবদুল হান্নান জানান গত ২৪ ঘন্টায় শনিবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত ৫৪.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২/৩দিনও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে এবং ঢাকাসহ দেশের মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বঙ্গপসাগরে সক্রিয় আছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হালকা থেকে মাঝারি কিম্বা আরও বেড়তে পারে। বেশ খানিকটা বায়ু চাপের তারতম্য আছে যার প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে।

এদিকে রাত থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রামে নিচু এলাকায় পানিতে জমে যায়। এত করে অফিসগামী লোকজন এবং স্কুলগামী ছেলেমেয়েদের পোহাতে হয়েছে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। বেশ কিছু সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে জন ভোগান্তি দেখা গেছে। সকাল থেকে বিভিন্ন সড়কে দেখা দেয় তীব্র যানজট।