পুষ্টিকর খাবারগুলোর মধ্যে চিয়া সিড অন্যতম

বর্তমান সময়ে মানুষের খাবার নিয়ে অনেক সচেতনতা। প্রতিদিনের খাবারে কী কী পুষ্টিগুণ আছে, আর কি কি খেলে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও পুষ্টি পাওয়া যাবে তা নিয়ে সচেতন অনেকেই। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষের খাবারের তালিকায় এখন বেশ জনপ্রিয় ‘চিয়া সিড’।
পৃথিবীর পুষ্টিকর খাবারগুলোর মধ্যে চিয়া সিড অন্যতম। বীজ জাতীয় যেকোনো খাবারই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। চিয়া সিডে আছে প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড, কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফিক এসিড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ। এই কারণে চিয়া সিডকে সুপারফুডও বলা হয়। চিয়া সিডের মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। এই বীজ দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়। এটা শক্তি এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। চিয়া সিড ব্লাড সুগার (রক্তের চিনি) স্বাভাবিক রাখে, ফলে ডায়াবেটিস ঝুঁকি কমায়। চিয়া বীজ হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় বিশেষ উপকারি। চিয়া সিড মলাশয় (colon) পরিষ্কার রাখে ফলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। চিয়া সিড শরীর থেকে টক্সিন (বিষাক্ত পদার্থ) বের করে দেয়। চিয়া বীজ হাঁটু ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করে। চিয়া সিড ত্বক, চুল ও নখ সুন্দর রাখে।প্রত্যেক জিনিসের উপকারী ও অপকারী দুই দিকই আছে। চিয়া সিড এর ক্ষেত্রেও তাই। চিয়া সিডের ব্যবহারের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো জেনে নেওয়া যাক:

চিয়া সিডের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। অতিরিক্ত পরিমাণে ফাইবার খেলে পেটে ফোলাভাব, গ্যাস ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়।
এই বীজের মধ্যে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা রক্তকে পাতলা করে দেয়। যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তাদের চিয়া সিড না খাওয়াই ভাল।
যাদের তিল বা সর্ষের বীজে অ্যালার্জি থাকলে তাদের চিয়া সিড এড়িয়ে চলাই ভালো। চিয়া সিড খেলে অ্যালার্জির সমস্যা হতে পারে।
চিয়া সিড খেলে আমবাত, ত্বকে ফুসকুড়ি, চোখ বা গলা চুলকানি, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হতে পারে।

চিয়া বীজ রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বিশেষ করে যখন অ্যাসপিরিন বা ওয়ারফারিনের মতো রক্ত পাতলা করার ওষুধ খান, তখন এই চিয়া সিড এড়িয়ে যাওয়া উচিত। একইভাবে, চিয়া সিড আপনার হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। তাই সীমিত পরিমাণে চিয়া সিড খান।
চিয়া সিড জল শোষণে সাহায্য করে। অতিরিক্ত পরিমাণে চিয়া সিড খেলে আপনার ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে। তাই চিয়া সিডের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ তরল খাবার বা জল পান করতে হবে।
চিয়া সিডের অনেক উপকারিতা থাকা সত্ত্বেও অন্যান্য খাবারের মত পরিমিত খাওয়া উচিৎ। এতেই দেহেরে পরিপূর্ণ উপকার পাওয়া সম্ভব।