যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক বিক্রি বাড়ার পূর্বাভাসে আশা দেখছে বিজিএমইএ

চলতি বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বাজারে পোশাক বিক্রি বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল রিটেইল ফেডারেশন (এনআরএফ)। সংস্থাটি বলেছে, উল্লিখিত সময়ে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় খুচরা বিক্রি তিন থেকে চার শতাংশ বাড়তে পারে।

এরফলে স্বস্তি ফিরে এসেছে দেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের মনে। আশা করছেন, দেশের পোশাক রফতানি আয়ও বাড়বে।

গতকাল মঙ্গলবার তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি মো. ফারুক হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন আশার কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা যখন বৈশ্বিক অর্থনীতির, বিশেষ করে ফ্যাশন শিল্প এবং খুচরা বাজারের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করছি, তখন ২০২৩ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বাজারে পোশাক বিক্রি বেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিতগুলো আমাদের জন্য সুবাতাস বয়ে আনছে। যদিও চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত খুচরা বিক্রির ক্ষেত্রে এক ধরনের সংগ্রাম করতে হয়েছে।

চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানির একটি হতাশাজনক চিত্র প্রদর্শন করে। ইপিবির তথ্য-উপাত্ত অনুসারে, জানুয়ারি-অক্টোবর ২০২৩ সময়েও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের পোশাক রপ্তানি ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ কমেছে।

ফারুক হাসান বলেন, যেহেতু অক্টোবর এবং নভেম্বরে আমাদের মোট পোশাক রপ্তানিতে ধীরগতি থাকে, তাই আমরা আশা করছি যে ডিসেম্বরে বিক্রি ঘুরে দাঁড়াবে, আর খুচরা বিক্রি প্রক্ষেপণগুলোও সেটি বলছে। বিশেষ করে অতিরিক্ত ইনভেন্টরি খুচরা বিক্রেতাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা চলমান ছুটির মৌসুমে বিক্রেতারা আরও বেশি পরিমাণে বিক্রি করে ইনভেন্টরির পরিমাণ কমাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

তার মতে, এভাবে অব্যাহত থাকলে ২০২৪ সালের শুরু থেকে মার্কিন পোশাক আমদানিতে মন্দার অবসান ঘটাতে সাহায্য করবে। মুদ্রাস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে থাকায় আশা করা যাচ্ছে শিগগিরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমানো হবে। এটি ভোক্তাদের ব্যয় এবং খুচরা বিক্রিকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে। মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতায় উদ্বেগ জানান এ ব্যবসায়ী নেতা। তিনি বলেন, তবে যাই হোক না কেন, ঘটতে পারে, এমন ঘটনাগুলোকেও বিবেচনায় নিতে হবে। ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ আমাদের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এই যুদ্ধ আমাদের বাণিজ্য ও অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। অতএব, খুচরা বাজারগুলোতে বিক্রয় কিভাবে বাড়ছে, তা আমাদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে।