নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম ওসমানকে শোকজ করা হয়েছে। শনিবার বিকালে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা কাজী ইয়াসিন হাবিব স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় তার কাছে কারণ দর্শানোর ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী গত শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের তল্লা এলাকার বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে শামীম ওসমানের পক্ষে নৌকা প্রতীকের ফেস্টুন ও বাদ্যযন্ত্র নিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে মিছিল ও পথসভা করা হয়। এতে এলাকায় যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এটি নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এজন্য রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি লিখিত ব্যাখ্যাসহ কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে শামীম ওসমানকে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার জুমার নামাজের পর শামীম ওসমানের নির্বাচনী এলাকা ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও পাড়া-মহল্লায় মিছিল করেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এসব মিছিলে তার ছবি সম্বলিত ব্যানার ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া তার পক্ষে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে স্লোগান দেয়া হয়। এর মধ্যে শহরের তল্লা এলাকায় শামীম ওসমানের পক্ষে জেলা যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লবের নেতৃত্বে ফতুল্লা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে নৌকা প্রতীক ফেস্টুন ও বাদ্যবাজনা বাজিয়ে শুক্রবার দুপুর ৩টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিশাল মিছিল করেছে। এ সময় পথসভা করে তার পক্ষে নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়া হয় এলাকাবাসীর কাছে।
এদিকে স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে জানান, নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করায় কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি ও যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. ইমাম হাসান স্বাক্ষরিত শুক্রবার পাঠানো নোটিশে জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল কয়েকশ নেতাকর্মী নিয়ে দেবিদ্বার পৌর সদরে শোডাউন করেন। এ সময় তাকে নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় এবং তিনি নিজের গাড়ির ছাদ খুলে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে নেতাকর্মীদের অভ্যর্থনা জানান।
শোডাউনটিতে শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর ছিল। এতে রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। বিষয়টি একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন ভার্সনে প্রকাশিত হয়। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ সত্য হলে তা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন হয়। আরও জানানো হয়, উপরোক্ত ঘটনায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ করা হবে না এ মর্মে রবিবার বেলা ১১টায় নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হয়।