স্বামী হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন

পটিয়ার থানার কুসুমপুরা ইউনিয়নে দাম্পত্য কলহের জেরে স্বামী আব্দুর রহিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার মামলায় স্ত্রী মিনু আক্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শরিফুর রহমানের আদালত এই রায় দেন।

মিনু আক্তার (২০), একই ইউনিয়নের আনু মিয়া চেয়ারম্যান বাড়ির সৈয়দ আহামদের মেয়ে।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, পটিয়া থানার কুসুমপুরা ইউনিয়নের আনু মিয়া চেয়ারম্যানের বাড়িতে স্বামী আব্দুর রহিম ও স্ত্রী মিনু আক্তার বসবাস করতেন। ২০১৩ সালের ২ ডিসেম্বর রাতে আব্দুর রহিম ও মিনু আক্তার রাত সাড়ে আটটার দিকে নিজ কক্ষে ঘুমানোর জন্য যায়। ঐ দিন রাত সাড়ে দশটার দিকে স্ত্রী মিনু আক্তার স্বামী আব্দুর রহিমকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পায় বলে জানায়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ময়নাতদন্তে রিপোর্টে আব্দুর রহিমকে শ্বাসরোধ করে হত্যার মতামত দেন। প্রথমে থানায় অপমৃত্যু মামলা হলেও পরে হত্যার প্রমাণ পাওয়ায় স্ত্রীকে আসামি করে ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি পটিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন তৎকালীন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমাইন কবির। তদন্তে স্ত্রী মিনু আক্তার দাম্পত্য কলহের জেরে শ্বাস রোধ করে আব্দুর রহিমকে হত্যার প্রমাণ মিলে। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২০ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৫ সালের ২৫ মার্চ আসামি মিনু আক্তারের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

আদালতের এডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জ্ঞানতোষ চৌধুরী বলেন, আট জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে স্বামী হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওযায় স্ত্রী মিনু আক্তারকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় আসামি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা মূলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।