আনোয়ারায় গণধর্ষণের শিকার এক কিশোরীকে মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (৩ জুলাই) রাত ৮টার দিকে চৌমুহনীর কালার মার দিঘী এলাকায় রাস্তার পাশে তাকে ফেলে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে কিশোরীকে উদ্ধার করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কোরিয়ান ইপিজেডে কর্ণফুলী সু ফ্যাক্টরিতে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন দুর্বৃত্ত। গণধর্ষণের পর তাকে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়া হয়।
কিশোরীর দুলাভাই বলেন, রাতে শ্যালিকার মুঠোফোন থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমরা গরীব মানুষ, চিকিৎসার টাকাও নেই। চন্দনাইশ থেকে প্রতিদিন বাসে কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করতো সে। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও পাওয়া যায়নি।
ধর্ষিতার বরাত দিয়ে তিনি জানান, ‘রাতে চাকরী থেকে ছুটি হওয়ার পর বাড়ি ফেরার পথে ৪-৫ জন মিলে তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে বলে সে জানিয়েছে।’
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বলেন, ওই কিশোরী এখনও চিকিৎসাধীন। সুস্থ হলে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, বুধবার (৩ জুলাই) রাতে আনুমানিক ১৫ বছরের ওই কিশোরীকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে তার জ্ঞান ফিরেছে।









