পৃথিবীর কেন্দ্রে ফাটল ধরেছে!

ফাটল ধরেছে পৃথিবীর কেন্দ্রে। নির্গত হচ্ছে বিরল হিলিয়াম-৩ গ্যাস। মূলত কানাডার আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জের বাফিন দ্বীপের লাভার ওপর চালানো গবেষণায় পাওয়া তথ্যের বরাতে এ দাবি জানিয়েছেন একদল গবেষক। এতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে পৃথিবীর কেন্দ্র সম্পর্কে প্রাপ্ত তত্ত্বগুলো।

কানাডার আর্কটিক দ্বীপপুঞ্জের বাফিন দ্বীপে প্রবাহিত ৬ কোটি ২০ লাখ বছরের পুরনো আগ্নেয়গিরি। সেখানকার লাভার উপর একটি যৌথ গবেষণা চালায় ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউটের ভূ-রয়াসন ও হুডস হোল ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউটের একদল বিজ্ঞানী।

এতে দেখা যায়, লাভায় অস্বাভাবিকভাবে উচ্চ মাত্রার হিলিয়াম গ্যাস-৩ রয়েছে। যা হিলিয়ামের একটি আইসোটোপ অর্থাৎ মৌলিক পদার্থটির ভিন্ন পরমাণু। এটি গ্রহের সঙ্গে সম্পৃক্ত। শুধু তাই নয় লাভা থেকে হিলিয়াম-৪ এর অস্তিতও পাওয়া গেছে বলে জানান তারা।

গবেষকদের দাবি পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে নির্গত হচ্ছে এই গ্যাস। গত বুধবার (২৫ অক্টোবর) নেচার জার্নালে প্রকাশিত হয় এ গবেষণার ফলাফল।

এরপরই সৃষ্টি হয়েছে নানা ধরনের বিতর্কের। বিজ্ঞানীদের দাবি, ভূ-পৃষ্ঠে পৌঁছানো মাত্রই বায়ুমন্ডলে চলে যায় এ গ্যাস। এরপর ধীরে ধীরে মহাকাশে মিশে যায় অত্যন্ত দুর্লভ মৌলিক এই পদার্থটি।

এজন্য ভূ-পৃষ্ঠে হিলিয়ামের উপস্থিতি জানান দেয় পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে নির্গত হচ্ছে এ গ্যাস, বলে মত বিজ্ঞানীদের। যদিও এতদিন ধারণা করা হচ্ছিল পৃথিবীর কেন্দ্র জিয়োকেমিক্যাল স্তর দিয়ে আলাদা ভূপৃষ্টের অন্যান্য স্তর থেকে।

তারা আরও জানান পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে যদি হিলিয়াম আসে তবে এরসঙ্গে বিদ্যমান অন্যান্য উপাদানও পাওয়া যাবে। আরও স্পষ্ট হবে কেন্দ্রের গঠন।

নতুন এ তথ্য পাওয়ায় বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, পৃথিবীর কেন্দ্র হয়তো আমাদের ধারণার চেয়েও গতিশীল। এতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে পৃথিবীর কেন্দ্র সম্পর্কে প্রাপ্ত তত্ত্বগুলো।