চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে

বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিলে আবুল হাশেম বক্কর

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছেন গণতন্ত্রের বাতিঘর। তিনি বেরিয়ে এলে গণতন্ত্রের সংগ্রামের জন্য লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসবে। সেজন্যই তাকে আটক করে রাখা হয়েছে। তিনি আজ গুরুতর অসুস্থ। তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার এখন প্রয়োজন বিদেশে উন্নত চিকিৎসা। চিকিৎসকরা পরিষ্কার করে বলেছেন, আমরা যা কিছু করা সম্ভব তা করেছি। আমাদের কাছে সেই উন্নত প্রযুক্তি নেই যা দিয়ে দেশে বেগম খালেদা জিয়াকে পরবর্তী চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে। অতি দ্রুত বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য উন্নত দেশ আমেরিকা, যুক্তরাজ্য বা জার্মানিতে না পাটালে তার জীবন রক্ষা করা মুশকিল হয়ে যাবে। অথচ সরকার তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে হত্যার ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের অস্তিত্বকে বিলীন করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে পরিপূর্ণ মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাদে জুমা নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মস‌জি‌দে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির কেন্দ্র ঘোষিত দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এই উপ মহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তিনি এই দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন। সে জন্য আজ সারা দেশের মানুষ তার পরিপূর্ণ মুক্তি চায়, সুচিকিৎসা চায়। বেগম খালেদা জিয়া আর বাংলাদেশের গণতন্ত্র একাকার। তাকে গৃহবন্দি করে দেশে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছে। দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান সহ নেতৃবৃন্দের জন্য দোয়া করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক। দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, হাজী মো. আলী, এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, আনোয়ার হোসেন লিপু, মন্জুর আলম চৌধুরী মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম, মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, বিভাগীয় শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার, থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, মো. আজম, এম আই চৌধুরী মামুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের জসিম, নুর হোসাইন, মহানগর বিএনপি নেতা সিহাব উদ্দিন মোবিন, এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সৈয়দ আমিন মাহমুদ, ইব্রাহিম বাচ্চু, মো. আলী, একেএম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, ইদ্রিস আলী, আজাদ বাঙালী, আবু মুছা, ইউছুপ শিকদার, চাঁন্দগাও থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এস এম মফিজ উল্লাহ, এড. আবুল কাশেম মজুমদার, মো. বেলাল, আজম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাজী এমরান উদ্দীন, হাজী আবু ফয়েজ, হাসান ওসমান চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, কামরুল ইসলাম, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সি. যুগ্ম সম্পাদক আলী মর্তুজা খান, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ, মৎস্যজীবী দলের আহবায়ক নুরুল হক, জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ শিপন, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আসিফ চৌধুরী লিমন, মাষ্টার আরিফুল ইসলাম, মো. আনাস, শহিদুল ইসলাম সুমন প্রমুখ।