ইনস্টিটিউট অফ ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার্স প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ উদ্বোধন করেছেন আইইইই এসএসআইটির প্রেসিডেন্ট ও আইইইই হিউম্যানিটেরিয়ান অ্যাকটিভিটিস কমিটির চেয়ারম্যান ড. পল এম কানিংহাম।
গতকাল (১১ ডিসেম্বর) নগরের দামপাড়ায় প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি অডিটোরিয়ামে ব্রাঞ্চ উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন।
ড. পল এম কানিংহাম ‘টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রযুক্তির ভূমিকা’ বিষয়ে বক্তব্য দেন। তিনি ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল, ইনোভেশন লাইফসাইকল, রোল অফ কলাবরেটিভ ওপেন ইনোভেশন ইন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট, কো-ডিজাইন অফ রিলেভেন্ট-অ্যাপ্রোপ্রিয়েট ইন্টারভেনশনস, আইডেন্টিফাইয়িং অ্যান্ড কোয়ালিফাইয়িং টারগেট কমিউনিটিস, ডেভেলপিং এন ইমপ্লিমেন্টেশন প্ল্যান প্রভৃতি বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন আইইইই বাংলাদেশ সেকশনের কনফারেন্স কো-অর্ডিনেটর ও চুয়েটের সিএসই বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মশিউল হক এবং আইইইই প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের চীফ অ্যাডভাইজার ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ডিন প্রফেসর ড. তৌফিক সাঈদ। সভাপতিত্ব করেন ব্রাঞ্চ কাউন্সিলর টুটন চন্দ্র মল্লিক।
ড. অনুপম সেন বলেন, বাংলাদেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ৩৭টিতে আইইইই’র স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ রয়েছে। আইইইই প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চ ৩৮তম। আমার বিশ্বাস, আইইইই’র সহযোগিতায় এই স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের মাধ্যমে প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির শিক্ষার্থীরা তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানের সক্ষমতা অর্জন করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে।
তিনি আজকের বিশ্বকে ‘তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্ব’ উল্লেখ করে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির বিশাল ও ব্যাপক প্রসারের মাধ্যমে তৃতীয় শিল্প বিপ্লব শুরু হয়েছে। প্রথম শিল্প বিপ্লব শুরু হয় ইংল্যান্ডে ১৭৬০ দশকে, বাষ্পশক্তিকে (স্টিম পাওয়ার) বশীভূত ও ব্যবহার করার মধ্য দিয়ে, দ্বিতীয় শিল্প-বিপ্লবের সূচনা ঘটে ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে ও বিংশ শতাব্দীর প্রথমে, যখন থেকে বিদ্যুৎকে শক্তি হিসেবে ব্যবহার করা শুরু হয়।
আইইইই প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট ব্রাঞ্চের প্রেসিডেন্ট রনি চৌধুরী, জেনারেল সেক্রেটারি সাদমান রিজোয়ান ও ট্রেজারার সুব্রত দাশকে ব্যাচ পরিয়ে দেন অতিথিবৃন্দ। শেষে প্রধান অতিথি, অতিথি ও বিশেষ অতিথিকে ক্রেস্ট প্রদান ও লোগো উন্মোচন করা হয়।