বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু-অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন, অপরাধীদের বিরুদ্ধে স্যাংশনের দাবি অস্ট্রেলিয়ার সিনেটে

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়া সরকারের দাবি পরিষ্কার করার আহবান জানানো হয়েছে দেশটির সংসদে। এ বিষয়ে আশু পদক্ষেপ গ্রহণে নিজ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রভাবশালী সিনেটর ডেভিড শুব্রিজ। অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে ১৪ সেপ্টেম্বর এক বক্তৃতায় তিনি এই আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ডেভিড শুব্রিজ ‘অস্ট্রেলিয়ান গ্রিনস’ দলের নেতা। দীর্ঘ ৯ বছর পর, ২০২২ সালের ২৩ মে অস্ট্রেলিয়ান গ্রিনস দল সহ ফের অস্ট্রেলিয়ায় সরকার গঠন করেছিল ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি। ওইদিন দেশটির ৩১তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন অ্যান্থনি আলবেনিজ।

প্রায় দেড় মিনিটের এক ভিডিও ফুটেজে সিনেটর ডেভিড শুব্রিজকে স্পিকারের উদ্দেশ্যে বলতে শোনা যায়ঃ প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশি প্রবাসীদের মধ্যে দেশটিতে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে এসবের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে দীর্ঘদিন ধরেই গ্রিনসরা উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট বিচারবহির্ভূত হত্যা, অপহরণ এবং নির্যাতনের মতো অপরাধগুলো নথিভুক্ত করেছে। অস্ট্রেলিয়ান সরকারের তরফেও এগুলো নিয়ে উদ্বেগ উত্থাপন করা এবং এ সমস্ত অপরাধের বিরুদ্ধে ‘টার্গেটেড স্যাংশন’ আরোপের জন্য ম্যাগনিটস্কি আইনের অধীনে পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।

ডেভিড শুব্রিজ বলেন, “শুধু র‍্যাবের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেই নয়; ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনগুলোতে বিরোধী রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও নির্যাতনের মাধ্যমে সহিংসতাসহ যে সকল অনিয়ম, বিতর্ক ও জালিয়াতি লক্ষ্য করা গেছে; সেগুলো প্রতিরোধ করার জন্যও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে”।

বক্তব্যের শেষে অস্ট্রেলিয়ান সিনেটর বলেন, “কূটনীতির মাধ্যমে আইনের শাসন এবং মানবাধিকার প্রচারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার হিসেবে, গ্রিনসরা আলবেনিজ সরকারকে নির্বাচনের আগেই বাংলাদেশের সরকারের সাথে (এ নিয়ে) গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার দাবি পরিষ্কার করার আহবান জানাচ্ছে”।

উল্লেখ্য, এর আগে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ‘বৈশ্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি’ নিয়ে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে বক্তৃতার সময় বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম ও নির্যাতনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বন্ধে জরুরি পদক্ষেপ নিতে অস্ট্রেলিয়ার সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন দেশটির আরেক সিনেটর, গ্রিনস দলের আরেক নেতা জ্যানেট রাইস।