যৌন হয়রানি: ইন্দোনেশিয়ার আয়োজকদের সঙ্গে মিস ইউনিভার্সের সম্পর্ক ছিন্ন

জাকার্তায় মুকুট পরানো অনুষ্ঠানের কয়েকদিন আগে বেশ কয়েকজন প্রতিযোগীর যৌন হয়রানির অভিযোগের প্রেক্ষাপটে ইন্দোনেশিয়ার ফ্রাঞ্চাইজির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি বলছে, প্রতিযোগীরা অভিযোগ করেছেন, আয়োজকরা অপ্রত্যাশিতভাবে ফাইনালিস্টদেরকে নগ্ন হতে বলে। তারা নগ্ন করে শরীরে কোন ক্ষত চিহ্ন বা ট্যাটু আঁকা আছে কিনা তা যাচাই করতে চায়। আবার কোনো কোনো প্রতিযোগী অভিযোগ করেছেন, তাদেরকে টপলেস করে ছবি তোলা হয়েছে।

এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন বলেছে, এটা পরিষ্কার যে ফ্রাঞ্চাইজিরা তাদের ব্রান্ডের মান, নৈতিকতা এবং প্রত্যাশা অনুসরণ করেনি। বর্তমানে এ অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করছে জাকার্তা পুলিশ। ওদিকে এ বছর মালয়েশিয়াতে এই প্রতিযোগিতাও বাতিল করেছে মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন। এর কারণ, মালয়েশিয়ায়ও আয়োজক সংস্থা একই কোম্পানি- পিটি ক্যালো স্বস্তিকা কারিয়া। যৌন হয়রানির বিষয়ে সাহস করে অভিযোগ করায় অভিযোগকারী যুবতীদের ধন্যবাদ জানিয়েছে মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন। অগ্রাধিকারভিত্তিতে তারা নারীদের প্রতি নিরাপত্তা দেয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। একই রকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য তারা নীতি এবং কর্মপ্রক্রিয়া পুনর্মূল্যায়ন করছে।

আরও জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে এই সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে শারীরিক বিশেষ কোনো মাপ বা শারীরিক গঠনের কোনো রীতিই নেই।
মিস ইউনিভার্স বর্তমানে তার ৭৩তম আয়োজনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই প্রতিযোগিতা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে খুব জনপ্রিয়। বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডে তা খুব জনপ্রিয়। এসব দেশের বিজয়ীরা সেলিব্রেটি হয়ে ওঠেন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে ওঠেন। ইন্দোনেশিয়ার ফ্রাঞ্চাইজার পপি ক্যালা’র পরিচালক ইনস্টাগ্রামে বলেছেন, ২০২৩ মিস ইউনিভার্স ইন্দোনেশিয়া আয়োজনে কাউকে সহিংসতা বা শরীর তল্লাশির নামে যৌন হয়রানির কোনো অনুমোদন বা নির্দেশ দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে তার প্রতিষ্ঠান জানতোও না। তিনি যেকোনো রকম সহিংসতা ও যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে নিজের অবস্থানের কথা জানান।