‘প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চাইলে ডিম আমদানি করা হবে’

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চাইলে ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানির উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

রোববার (১৩ আগস্ট) সকালে উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে আগস্ট মাসের টিসিবির সাশ্রয়ীমূল্যে বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধনকালে একথা বলেন তিনি।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন,
ডিমের দাম কত হওয়া উচিৎ, তা প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানালে সেই পরিপ্রেক্ষিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় চাইলে বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে ডিম আমদানির উদ্যোগ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সপ্তাহখানেক ধরে অস্থির ডিমের বাজার। সপ্তাহ ব্যবধানে এক ডজন ডিমের দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়ে ঠেকেছে ১৬৫ টাকায়। এতে নাভিশ্বাস উঠেছে ক্রেতাদের।

এদিকে, আগস্ট মাসের দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চাল থাকলেও থাকছে না চিনি। এতদিন টিসিবির বিক্রি কার্যক্রমে উপকারভোগীরা ৭০ টাকা দরে ১ কেজি চিনিও কিনতে পারতেন।

এ বিষয়ে টিপু মুনশি জানান,
সরবরাহ সংকটে পড়ায় টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের বিপরীতে চিনি বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এর আগে, শনিবার (১২ আগস্ট) টিসিবির বিক্রি কার্যক্রমে চিনি না থাকার কারণ হিসেবে সংস্থাটির মুখপাত্র হুমায়ূন কবীর সময় সংবাদকে বলেছিলেন, ‘দেশের বাইরে থেকে যে চিনি আসার কথা সেটি এখনও আসেনি। যদি এটি আগামী মাসে আসে, তাহলে আগামী মাসের বিক্রি কার্যক্রমে তা যুক্ত করা হবে। না হলে তার পরের মাসে দেয়া হবে। চিনি না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে বলতে পারছি না। চিনি এলে বিক্রি কার্যক্রমে এটি যুক্ত করা হবে।’

রোববার থেকে ঢাকা মহানগরসহ সারা দেশে শোকাবহ আগস্ট মাসের টিসিবির বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগস্ট মাসের বিক্রি কার্যক্রমে সর্বোচ্চ ২ লিটার সয়াবিন তেল বা রাইসব্র্যান তেল, ২ কেজি মসুর ডাল ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন উপকারভোগীরা। এক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বা রাইসব্র্যান তেলের দাম পড়বে ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ৬০ টাকা এবং প্রতি কেজি চালের দাম পড়বে ৩০ টাকা।