চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ¦ আবু সুফিয়ান বলেন, ছাত্রদলের অতীত ঐতিহ্য গৌরবোজ্জ্বল। ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রদল অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। এখন একটা ফ্যাসিবাদী সরকার দেশে তাদের শাসনকার্য চালিয়ে যাচ্ছে। গুম-হত্যা, জেল-জুলুম, নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করে ১৫বছর যাবৎ এই ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সক্রিয় ভ‚মিকা পালন করে যাচ্ছেন। আগামী দিনে বাংলাদেশ কোন পথে যাবে, তা রাজপথে ফয়সালা হবে। আমাদের নেতা দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন। তার চিন্তাকে বাস্তবে রূপ দেওয়া হবে ছাত্রদলের প্রতিটি নেতাকর্মীর দায়িত্ব।
নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি আরোও বলেন, ছাত্রদল আন্দোলন সংগ্রামের অতন্দ্র প্রহরী। নতুন কমিটির নেতারা রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে একদিকে যেমন কমিটি পুনর্গঠন করবেন, পাশাপাশি বর্তমান সরকার বিরোধী সব আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবেন। ‘পদ’ মানে ক্ষমতা কিংবা মিষ্টি খাওয়ানো ও ফুল নেওয়া নয়। ‘পদ’ মানে গুরু দায়িত্ব। আপনাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করে আগামী দিনে দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলকে মডেল ইউনিটে পরিণত করবেন। একটি বৃহৎ সংগঠনে পদের জন্য প্রতিযোগিতা থাকবে। যার কারণে অনেক যোগ্য পদপ্রত্যাশী কাঙ্খিত পদ পায়না। তাই নতুন নেতৃত্বকে যারা পদ পেয়েছে কিংবা পায়নি সবাই কে সাথে নিয়ে এই কঠিন দু:সময় পাড়ি দিতে হবে। দেশের গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার, জনগণের ভোটাধিকার ফেরত ও দেশনেত্রীকে মুক্ত করে আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের হাতে মুক্ত বাংলাদেশের পতাকা তুলে দিতে হলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। এজন্য সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য বিএনপির ভ্যানগার্ড জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলকে সবসময় প্রস্তুত থাকবে হবে। আমার বিশ্বাস ছাত্রদলের যে ঐতিহ্য লড়াই সংগ্রামের তারই ধারাবাহিকতায় এবারও জয়ী হবে।
আজ ১২ আগষ্ট (শনিবার) সদ্য ঘোষিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ সৌজন্য সাক্ষাত এর জন্য এলে উপস্থিত নেতৃবন্দের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত আহবায়ক কমিটির আহবায়ক রবিউল হোসেন রবি, সদস্য সচিব কামরু উদ্দিন সবুজ সহ য্্ুগ্ম আহবায়ক ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।