সকল সংকট ও দুর্যোগে বিএনপি জনগণের পাশে ছিল, থাকবে

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, চট্টগ্রামকে বাণিজ্যিক রাজধানী বলা হলেও নানা সংকট ও সরকারের অব্যবস্থাপনায় এ নগরী বর্তমানে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। নানাবিধ নাগরিক সমস্যার পাশাপাশি স্থায়ীভাবে যুক্ত আছে জলাবদ্ধতা। তিন দিনের বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় চট্টগ্রাম মহানগরী অচল ও বিধ্বস্থ হয়ে পড়েছে। কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও কোমর পানি। রাস্তায় চলাচল করতে গিয়ে নগরবাসীকে পোহাতে হচ্ছে নানা ভোগান্তি। জলমগ্ন রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় গর্ত থাকায় ও বৃষ্টিতে ডুবে যাওয়া খাল—নালা উন্মুক্ত থাকায় ঘটেছে প্রাণহানী সহ নানা দুর্ঘটনা। গ্যাস—বিদ্যুৎ—পানি সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে একেত মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলোর অবস্থা শোচনীয় তার উপর বৃষ্টিতে পানিবন্ধি থাকার কারণে তারা খাবার সংকটে ভুগছে। অনেক এলাকার বাসিন্দারা নিচতলার বসতঘরে পানি জমে থাকায় রান্নার চুলা জ্বালাতে পারছেন না। তিন দিন ধরে একটি শহর ডুবে আছে। পানিবন্ধি মানুষগুলো যে পরিমাণ কষ্টে ও দুঃখে আছে, তা নিয়ে সরকারদলীয়ও কারও ভ্রক্ষেপ নেই বা উদ্বেগও নেই। জনপ্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সকলে নির্বিকার এবং দায় এড়ানোর সংস্কৃতিতে ব্যস্ত। বিগত ১৫ বছর ধরে সরকার নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেওয়ার আশ্বাস দিলেও কার্যত তা এখনো বাস্তবায়ন করতে পারেনি এবং প্রতিবছরই বৃষ্টিতে নগরবাসী ডুবছে। যার কারণে জলাবদ্ধতায় জনগণের ভোগান্তি কমেনি, বরং প্রতি বছর বাড়ছে। সকল সমস্যার মূল কারণ দেশে কোন নির্বাচিত সরকার নেই। জনগণের ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় সরকার ও সরকারের জনপ্রতিনিধিগণ জনগণের পাশে নেই। তারা জনগণের সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট নয় বরং জনগণের পকেট কেটে ও দুর্নীতি করে নিজেদের ভাগ্যন্নোয়নে ব্যস্ত। সরকারের তথাকতিথ উন্নয়ন জনগণের কোন সুফল বয়ে আনছেনা। যার ফলে দ্রুত জীবনযাএার মানের অবনতি ঘটছে এবং নগরবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

তিনি আরোও বলেন, ২০১৭ সালে জলাবদ্ধতা নিরসনে সিডিএ ৬ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নিলেও অবস্থারও কোনো উন্নতি হয়নি। ৬ বছর পেরিয়ে গেলেও সিডিএ, সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাদের সেই প্রতিশ্রম্নতি রক্ষা করতে পারেনি। সিডিএ ও সিটি করপোরেশন নিজেদের দায় স্বীকার না করে বরঞ্চ একে অপরকে দোষারোপ করছে। প্রতি বছর জলাবদ্ধতায় সেবা সংস্থাগুলো নিজেদের ব্যর্থতার দায় একে—অপরের ওপর চাপিয়ে দেয়ার প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। আবার সমন্বয়হীনতার কথা বলে পার পেয়ে যাচ্ছে। নগরীর সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর সময়োপযোগী পরিকল্পনা প্রণয়নে ব্যর্থতা, অদূরদর্শিতা, জবাবদিহিতার অভাব, দায়িত্বহীনতা এবং সমন্বয়হীণতার অভাব এর কারণে নগর জীবনের সমস্যাগুলো দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমন্বিত পরিকল্পনার অভাবে এবং সংস্থাগুলো তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনে ব্যর্থ হওয়ায় এ নগরী বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়ছে। সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও  সংকটে অতীতের ন্যয় বিএনপি জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে। জনগনের ন্যায্য দাবী আদায়ে রাজপথে আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে। কোন বাঁধা বিপত্তিতে চলমান আন্দোলন থামবেনা। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন রাজপথের দুর্বার আন্দোলনে নিশ্চিত হবে। কারণ এই আন্দোলন দেশ বাঁচানোর, এই আন্দোলন দেশের মানুষকে মুক্ত করার।

আজ ০৮ আগষ্ট (মঙ্গলবার) দুপুরে ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে ওয়ার্ড এর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে পানিবন্ধি ২৫০০ পরিবারের মাঝে খাবার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ হাসান লিটন এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন লিপু, ওয়ার্ড বিএনপির সহ—সভাপতি হাজী নিজামুল ইসলাম, আকতার হোসেন, চান্দগাঁও থানা যুবদলের আহবায়ক গোলজার হোসেন, মহানগর যুবদলের সহ—কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাজিদ হাসান রনি, থানা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোরশেদ কামাল, ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ ইসকান্দর,বিএনপি নেতা আব্দুল নবী, ফরিদুল আলম, থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. রিজুয়ান, আলমগীর টিটু, সিরাজুল ইসলাম ইকবাল, মোহাম্মদ সরোয়ার, মোহাম্মদ ইসকান্দর, ৬নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুর রশিদ,থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল আজিজ, আনিসুর রহমান, মো.মুরাদ, আজমল ,ফারুক, সদস্য সচিব সাদ্দাম হোসেন, মো. খোরশেদ, মো. ওসমান, মো. ইউসুফ, মো. লোকমান, আব্দুল মান্নান, সাফায়েত হোসেন সোহান, মো. নঈম, আবু সৈয়দ, রাজু মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ রাশেদ, ফরহাদ হাওলাদার, মো. রাশেদ প্রমুখ ।