বান্দরবানে বিদ্যুৎ নেই, সড়ক যোগাযোগ ও নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন

পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় বান্দরবানে বিদ্যুৎ নেই, সড়ক যোগাযোগ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।এছাড়া পাহাড়ি ঢল ও বন্যার পানিতে সড়ক ডুবে যাওয়ায় চট্টগ্রামের চন্দনাইশ এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার-আরাকান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সড়কে পানি জমায় চট্টগ্রামের সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে কিছু যানবাহন চলাচল করলেও সকাল ১১টার পর থেকে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ফলে চট্টগ্রামের সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

এতে সড়কের উভয় পাশে প্রায় ৫ কিলোমিটারের বেশি যানজটের সৃষ্টি হয়। শতশত যানবাহন উভয় পাশে আটকা পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, প্রায় ৮ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর সকাল ১১টার দিকে সড়কের এক পাশ দিয়ে কিছু কিছু যানবাহন চলাচল শুরু হয়ে। পরে আবারও সেটা বন্ধ হয়ে যায়।

সাতকানীয়ার দোহাজারী থেকে বান্দরবানের দিকে যেতে অনেক গ্রামের বাড়ি-ঘরের নিচের তলা পর্যন্ত পানিতে ডুবে গেছে।

বান্দরবান থেকে জানান, বান্দরবান বাসস্ট্যান্ড এলাকা পুরো পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া লামা এলাকার দোকানপাট, অফিস পানির নিচে। এ ছাড়া রুমা থানার রোয়াংছড়ি, লামা, আলিকদম বন্যাকবলিত। ৫ উপজেলার সঙ্গে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

তিনি আরও জানান, ট্রান্সফরমার পানির নিচে চলে যাওয়ায় ৩ দিন ধরে বান্দরবান শহরে বিদ্যুৎ নেই, সঙ্গে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবান সড়কের কেরাণীহাট এলাকা পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

বন্যার পানিতে চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলার কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

জানা গেছে, উভয় উপজেলার কয়েকশত পুকুর ডুবে শত কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। শত শত বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় মানুষজন মানবেতর জীবন যাপন করছে। ডুবে গেছে শতাধিক নলকূপ। এ কারণে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।