পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন আগামী মার্চ পর্যন্ত বিলম্বিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ। তিনি বলেছে, কাউন্সিল অব কমন ইন্টারেস্টস (সিসিআই) নতুন আদমশুমারি অনুমোদন করার পর এমন অবস্থা দাঁড়িয়েছে। এর ফলে নির্বাচনী আসনের সীমানা নতুন সরে সাজাতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। জিও নিউজের ‘আজ শাহজেব খানজাদা কি সাথ’ অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, যদি পার্লামেন্টের আসনের সীমানা নতুন করে সাজাতে হয় তাহলে আগামী বছর ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে অথবা মার্চের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হতে পারে।
আগামী ৯ই আগস্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার কথা রয়েছে। যদি তা-ই হয় তাহলে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। সেই হিসাবে এ বছর অক্টোবর বা নভেম্বরে নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু ডিজিটাল শুমারি সম্পন্ন করার পর নির্বাচন করার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে সিসিআইয়ের শনিবারের মিটিংয়ে। ফলে সেই শুমারির ওপর নির্বাচন করতে বাধ্য পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন।
ওই মিটিংয়ের পর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের শুমারি অনুমোদন করেছেন চারজন মুখ্যমন্ত্রী এবং সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। সিসিআইয়ের ওই সিদ্ধান্তের বিষয়ে সানাউল্লাহ বলেন, আমার মতে পার্লামেন্টের আসন সীমানা পুনর্বিন্যাস করা একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। কারণ, সংবিধানের অধীনে একটি শুমারির ওপর দুটি সাধারণ নির্বাচন হতে পারে না।
সংবিধানে বলা হয়েছে, নতুন শুমারি সম্পন্ন হওয়ার পর আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করতে হবে। তবে ২০২৩ সালের শুমারির ফলাফল নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আপত্তি উত্থাপন করেছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কে হবেন এ প্রশ্নে রানা সানাউল্লাহ বলেছেন, এখনও অন্তর্বর্তী ওই সরকারের প্রধান নির্বাহী কে হবেন তা চূড়ান্ত হয়নি। এ পদের জন্য সিন্ধুর গভর্নর কামরান টেসোরির নাম প্রস্তাব করেছে এমকিউএমপি। অন্যদিকে একটি বা দুটি নাম দেয়ার কথা রয়েছে জোটের অন্যতম শরিক পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি)। মঙ্গলবার এসব নামের ভিতর থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একজনকে বাছাই করা হবে।