মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই প্রতিনিধি: কয়েকদিনের টানা বর্ষণে কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে প্রতিদিনই সচেতন করা হচ্ছে। পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিতে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। শনিবার (৫ আগষ্ট) বিকাল পর্যন্ত কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৫৫ জন অবস্থান করছে। বাকীদের আশ্রয়কেন্দ্রে চলে আসতে প্রচারনা অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এবিষয়ে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন জানান, ইতোমধ্যে কাপ্তাই উপজেলায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে উপজেলা প্রশাসন ও কাপ্তাই তথ্য অফিস প্রতিনিয়ত প্রচারনা ও মাইকিং চালিয়ে যাচ্ছে। কাপ্তাই নতুন বাজার সংলগ্ন ঢাকাইয়া কলোনী ও আফসারর টিলা এলাকা গুলো পাহাড় ধসের বেশ ঝুঁকিতে রয়েছে। সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে প্রায় ৫৫ জন গত শুক্রবার থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রে তাদের খাবার বিতরণও করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। অন্যান্য ইউনিয়নেও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি জানান। কাপ্তাই সহকারি তথ্য কর্মকর্তা মোঃ দেলোয়ার হোসাইন জানান, পাহাড়ে ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের সরে যেতে তথ্য অফিস নিয়মিত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। কিন্তু কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বেশ কিছু বাসিন্দাদের মাঝে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে অনিহা দেখা যাচ্ছে। তারা জানান, আরো বেশি বৃষ্টি হলেই আমরা আশ্রয় কেন্দ্রে যাবো। এদিকে, কাপ্তাই উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে শত শত পরিবার ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাস করছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা বর্ষণ চলছে। শনিবার সারাদিনও বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গত শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত রাঙামাটিতে ৭৭ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া শনিবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৩৭ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগের দিন বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছিল ৯৪ মিলিমিটার। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে টানাবর্ষণে ভয়াবহ পাহাড় ধসে কাপ্তাইয়ে ১৭ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয়েছিলো অনেকেই।