রূপচর্চায় ঘিয়ের ম্যাজিক!

স্বাস্থ্যের জন্য ঘি খাওয়া ভালো। এর বাইরেও ঘিয়ের অনেক গুণ রয়েছে। তবে আপনি জানেন কী–ঘিয়ের আছে বিউটি বেনিফিটও। ঘিতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা বলিরেখা ও বার্ধক্যের প্রাথমিক লক্ষণ প্রতিরোধে কার্যকর।

বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে আমাদের শরীর ও ত্বক বুড়িয়ে যেতে থাকে। তবে আপনি চাইলে আপনার ত্বক দীর্ঘদিন পর্যন্ত ঠিক রাখতে পারবেন ঘিয়ের সাহায্যে। তাই চলুন জেনে নিই কীভাবে রূপচর্চায় ঘি ব্যবহার করবেন–

ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে
ঘিতে ভিটামিন এ এবং ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যার কারণে এটি একটি দুর্দান্ত প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। ঘি ত্বককে দীর্ঘস্থায়ী হাইড্রেশন দেয় এবং ত্বককে শুষ্ক হতে দেয় না। এ ছাড়া আপনি চাইলে গোসলের আগে ত্বকে হালকা করে ঘি দিয়ে ময়েশ্চারাইজ করতে পারেন। এটি আপনার ত্বককে কোমল এবং নরম করে তুলবে।

ঘি ত্বকের টক্সিন বের করে
ঘিতে রয়েছে ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হজমপ্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। আর যখন হজম ভালো হয়, তখন আপনার শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন বের হয়ে যায়, যার ফলে ত্বক পরিষ্কার থাকে।

তারুণ্য ধরে রাখে
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শরীর ও ত্বক বুড়িয়ে যেতে থাকে। তবে প্রতিদিন যদি আপনার খাদ্যতালিকায় কিছুটা ঘি রাখেন, তাহলেই ত্বক থাকবে কোমল। কারণ, ঘিতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট; যা বলিরেখা ও বার্ধক্যের প্রাথমিক লক্ষণ প্রতিরোধে কার্যকর।

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে
ঘুমানোর আগে চোখের নিচে ঘি দিয়ে রাখুন। সকালে উঠে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। টানা কিছুদিন নিয়ম করে এই রুটিন মেনে চললে চোখের নিচের কালো দাগ দূর হবে।

ঠোঁটের শুষ্কতা দূর করে
ঘি ঠোঁটে বাম হিসেবে ব্যবহার করুন। এতে আপনার ঠোঁট অনেক বেশি ময়েশ্চারাইজ থাকবে ও ঠোঁটের শুষ্ক ও ফাটা ভাব দূর হবে।