বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের জন্য সরকারের গণবিরোধী নীতিই দায়ী

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, জৈষ্টের খরতাপে মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে মানুষ দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পড়েছে। বিদ্যুৎ খাতে সরকারের নজিরবিহীন দুর্নীতির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ ব্যবস্থায় চরম সংকট তৈরি হয়েছে। বর্তমানে দিনে রাতে ৬/৭ ঘন্টার বেশী বিদ্যুৎ থাকেনা। মানুষের কাছে জবাবদিহিতা না থাকায় দুর্নীতির লক্ষ্যে অপরিকল্পিতভাবে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট স্থাপন, বিদ্যুৎ উৎপাদন ছাড়াই ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া, ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে ২৫ বছরের অসম বিদ্যুৎ চুক্তি আজকের বিদ্যমান বিদ্যুৎ সংকটের অন্যতম কারণ।বর্তমানে বিদ্যুৎ দুর্নীতির প্রধান খাতে পরিণত হয়েছে। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের জন্য সরকারের গণবিরোধী নীতিই দায়ী। তিনি বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুরে নগরীর আগ্রাবাদ বিদ্যুৎ অফিসের সামনে সারাদেশে অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুৎখাতে দুর্নীতির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদানকালে এসব কথা বলেন। সকাল ১১ থেকে ১২ টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ অফিসের সামনে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অবস্থান নেন। দুপুর ১২ টায় বিএনপি নেতা আবু সুফিয়ান ও এনামুল হক এনামের নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল বিদ্যুৎ অফিসে প্রবেশ করে প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিমের সাথে দেখা করে স্মারকলিপি প্রদান করেন। এসময় আবু সুফিয়ান বলেন, গণতন্ত্রকে কাফন পরিয়ে তথাকথিত উন্নয়নের গালগল্প এখন দেশবাসী দেখছে। শুধু নিজেদের ঘনিষ্ঠজনকে বিপুল অর্থবিত্তের মালিক করার জন্যই রেন্টাল কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যাদের মধ্যে কেউ সিঙ্গাপুরে গিয়ে সর্বোচ্চ ধনীর তালিকায় স্থান পেয়েছে। অথচ জনগণের পকেট কেটে হাজার হাজার কোটি টাকা আদায় করা হচ্ছে এই খাতে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য। বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ২০ হাজার কোটি টাকা উপরে পরিশোধ করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটকে বৈধ করতেই ইনডেমনিটি আইন করা হয়েছে। কিন্তু এটি যে ছিল এক ধরনের জালিয়াতি, সেটিই এখন বিকট লোডশেডিংয়ের সুষ্পষ্ট প্রমাণ জনগণ দেখতে পাচ্ছে। জেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম বলেন, সরকার সব সময় বড় গলায় উদ্বৃত্ত বিদ্যুতের কথা বলে এসেছে। পরিবেশের কথা বিবেচনা না করে বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির নামে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। তাহলে আজকে কেন এতো অসহনীয় বিদ্যুৎ বিপর্যয়। আসলে এই সরকারের আমলে বিদ্যুৎখাতে চলেছে দুর্নীতির মহা তেলেসমাতি। সেই বাড়তি বিদ্যুৎ কোথায় গেল? কয়লা কোথায় গেল, তেলের তো বিশ্বব্যাপী দাম কমছে। কিন্তু দেশে না কি তেল পায় না। তাদের উন্নয়ন এখন হুড়মুড় করে পড়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ নিয়ে এই সরকার মিথ্যা প্রচার করে গেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক এনাম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইদ্রিস মিয়া চেয়ারম্যান, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, এস এম মামুন মিয়া, নাজমুল মোস্তফা আমিন, মোস্তাফিজুর রহমান, আবু মো. নিপার, খোরশেদ আলম, মঈনুল আলম ছোটন, জিয়া উদ্দীন আশফাক, জেলা যুবদলের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজগর, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মন্জুর আলম তালুকদার, সদস্য সচিব জমির উদ্দীন চৌধুরী মানিক, বাঁশখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাষ্টার লোকমান আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক চৌধুরী, চন্দনাইশ পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুর রহমান মাধু, বিএনপি নেতা মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, আবুল কালাম আবু, ইফতেখার হোসেন, এড. শওকত উছমান, শফিকুল ইসলাম রাহী, নুরুল আবছার, জেলা মহিলা দলের সভাপতি জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী রিকু, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহসিন, বিএনপি নেতা মহসিন চেয়ারম্যান, সাইফুদ্দিন আহমেদ, আবদুল মাবুদ, হাজী আবুল কাশেম, ইব্রাহিম সওদাগর, আকতার হোসেন, গোলাম মঈনুদ্দিন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক হামিদুর রহমান পিয়ারু প্রমূখ।