২৭তম বারের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিলেন চীনের এই কোটিপতি

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এ নিয়ে ২৭তম বারের মতো পরীক্ষায় বসলেন ৫৬ বছর বয়সী এক চীনা কোটিপতি। লিয়াং শি নামের ওই চীনা কোটিপতি তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা পূর্ণ ‘গাওকাও’ পরীক্ষা দিয়ে চলেছেন। দেশটিতে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা এ নামে পরিচিত। তবে এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া বেশ কঠিন। বুধবার অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় অংশ নেন রেকর্ড ১ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী।

তবে গাওকাও পরীক্ষায় বারবার ব্যর্থ হলেও নিজের জীবনে কিন্তু দারুণ সফল লিয়াং শি। একটি কারখানায় সামান্য চাকরি থেকে তিনি এখন নিজের বড় ব্যবসা দাঁড় করে ফেলেছেন। যদিও তার একটি স্বপ্ন হচ্ছে সিচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে ভর্তি পরীক্ষায় পর্যাপ্ত নম্বর পাওয়া। বারবার ব্যর্থ হলেও তিনি এখনও হার মানতে রাজি নন। লিয়াং বলেন, কয়েক মাস ধরে তিনি রীতিমতো ‘একজন তপস্বী সন্ন্যাসীর জীবন’ যাপন করছেন। ভোর হওয়ার ঠিক পর থেকে শুরু করে দিনে ১২ ঘণ্টা পাঠ্যপুস্তক অধ্যয়নে কাটিয়েছেন।

লিয়াং বলেন, আমি কোথাও পড়তে পারব না, এ কথা ভাবতেই অস্বস্তি লাগে। আমি আসলেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাই এবং একজন পণ্ডিত হতে চাই।
সিচুয়ানের স্থানীয় এই বাসিন্দা গত চার দশকে ২৬ বার গাওকাও ভর্তি পরীক্ষায় বসেছিলেন। তবে প্রতিবারই পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে প্রয়োজনীয় নম্বর পেতে ব্যর্থ হন লিয়াং। শিক্ষার্থীদের জন্য একটি ভাল গাওকাও ফলাফল একজনের জীবনের গতিপথ নির্ধারণ করতে পারে। এই পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করলেই চীনের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রির পথ খুলে যায়। পড়াশুনা শেষে ভাল চাকরির সুযোগও পাওয়া যায়।

লিয়াং ১৯৮৩ সালে প্রথমবার গাওকাও পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১৬। তিনি পরবর্তী দশক ধরে তার স্কোর বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যান। ১৯৯২ সালে তাকে হাল ছেড়ে দিতে হয়েছিল, কারণ সেই সময়ে পরীক্ষাটি কেবলমাত্র ২৫ বছরের কম বয়স্কদের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল। তবে ২০০১ সালে এই বয়সসীমা তুলে দেয়ার পর আবারও পরীক্ষা দিতে নেমে যান লিয়াং। ২০১০ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রতি বছরই তিনি গাওকাও পরীক্ষায় বসেছেন।