ফ্যানের দাম লাগামহীন, অসহায় ক্রেতা

একদিকে তীব্র তাপদাহ, অন্যদিকে চলছে ঘন ঘন লোডশেডিং। একটু স্বস্তি পেতে যেই না ফ্যানের বাজারে যাচ্ছেন ক্রেতারা, সেখানেও লাগামহীন দামে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

সরেজমিন রাজধানীর বেশ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, গরম থেকে বাঁচতে ফ্যান কেনার হিড়িক পড়েছে বাজারে। চাহিদার সঙ্গে দামও বেড়েছে। বিশেষ করে চার্জার ফ্যানের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। একটু স্বস্তির আশায় অনেকেই চার্জার ফ্যান, চার্জার বাতি ও আইপিএস কিনছেন। যাদের সার্মথ্য আছে তারা কিনছেন এসি। যদিও চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এসব পণ্যের দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

মঙ্গলবার (৬ জুন) মধ্যদুপুরে রাজধানীর মিরপুরের বেশ কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি ফ্যানের দোকানেই মানুষের ভিড়। মিরপুরের কো-অপারেটিভ, শাহআলী, ও মুক্ত বাংলা মার্কেটের বেশ কয়েকটি ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান ঘুরে ফ্যানের দাম বেড়ে যাওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে।

বেশি বেড়েছে চার্জার ফ্যানের দাম
মূলত লোডশেডিংয়ের কারণে গরমের অস্বস্তি থেকে বাঁচতে চার্জার ফ্যানের ব্যবহার বেড়েছে। এই ফ্যানে বিদ্যুৎ না থাকলেও বাতাস পাওয়া যায়। বিদ্যুৎ সংযোগে থাকলে ফ্যানের ব্যাটারি নিজে থেকেই চার্জ হয়। পরবর্তীতে বিদ্যুৎ চলে গেলে এই ফ্যান বিভিন্ন সময় পর্যন্ত বাতাস দিয়ে থাকে।
বাজারে ভিশন, ওয়ালটন, ক্লিক, সানকা, সিঙ্গারসহ নানা ব্র্যান্ডের চার্জার ফ্যান পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া ছোট ও টেবিল চার্জার ফ্যানও রয়েছে।

তবে ক্রেতারা বলছেন, বর্তমানের ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের মধ্যে চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেশি বেড়েছে। আর এ কারণে দামও বেড়েছে কয়েকগুণ।

কোন ফ্যানের কেমন দাম
মিরপুরের শাহ আলী মার্কেটের সামনে ফুটপাতেই ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে চার্জার ফ্যান বিক্রি করছেন সাজ্জাদ হোসেন। দাম-দর জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফ্যানের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি বেড়েছে। আমি ৫০টার ওপরে ফ্যান বিক্রি করেছি। আর ৭-৮ টা ফ্যান আছে। দোকান থেকে একটু কমে বিক্রি করায় মানুষও ভিড় জমাচ্ছে। কিনে নিয়ে যাচ্ছে।

কেমন দাম রাখছেন জিজ্ঞেস করলে তিনি বিলেন, ১২ ইঞ্চি আকারের একটি চার্জার ফ্যানের দাম ৪০০০ টাকা এবং ১৪ ইঞ্চির আকারের একটির দাম ৪৭০০ থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। এর থেকে বড় আকারের চার্জার ফ্যানের দাম ৭-৮ হাজার টাকা।