চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, ২০ কিলোমিটারজুড়ে যানজট

    কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। ওই মহাসড়কে দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকার পর বেলা ১২টায় পুলিশের হস্তক্ষেপে যান চলাচল শুরু হয়েছে। আজ সকাল ১০টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের অনুসারীদের সঙ্গে সাবেক মেয়র মিজানুর রহমানের অনুসারীদের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।

    উপজেলার চৌদ্দগ্রাম বাজারে মঞ্চ দখলকে কেন্দ্র করে উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। ভাঙচুর করা হয় সাংসদ গ্রুপের সভামঞ্চ। একপর্যায়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। ভাঙচুর করা হয় যানবাহন এবং আগুন দেয়া হয় তিনটি মোটরসাইকেলে। বন্ধ হয়ে যায় মহাসড়কের যান চলাচল। এসময় চারলেন সড়কের উভয় দিকে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। এতে আটকেপড়া যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হয়েছেন।


    ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী সৌদিয়া পরিবহনের চালক আসলাম মিয়া বলেন, মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে সংঘর্ষের খবর আমরা জানতাম না। আমানগন্ডা এলাকায় এসে শুনেছি বাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষ চলছে। আমি প্রায় এক ঘন্টা ধরে যানজটে আটকা পড়ে আছি।

    যানজটে আটকে থাকা তিশা পরিবহনের যাত্রী সুমাইয়া সুলতানা বলেন, সংঘর্ষের কারণে প্রায় এক ঘণ্টা অধিক সময় যানজটে আটকে আছি। এতে করে আমাদের চরম কষ্ট হচ্ছে।
    হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রহমত উল্যাহ বলেন, পুলিশের হস্তক্ষেপে সংঘর্ষের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বেলা ১২টা দিকে মহাসড়কের যানচলাচল শুরু হয়েছে।
    জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে সাবেক পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান শাহজালাল মজুমদার, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা তমিজউদ্দিন সেলিম অংশের নেতাকর্মী এবং সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের অনুসারী নেতাকর্মীরা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করে। আজ সকালে কর্মসূচির শুরুতেই দোয়েল চত্বর সংলগ্ন এলাকায় উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয়পক্ষের ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।