এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ক্রাশ প্রোগ্রাম

ডেঙ্গু রোগের জীবাণুবাহী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ডে বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন।

রোববার চকবাজার ওয়ার্ডের পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকার প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সামনে ফগার মেশিনে ওষুধ ছিটিয়ে বর্ষা মৌসুমে এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণের এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্যানেল মেয়র আফরোজা জহুর।

এসময় প্যানেল মেয়র আফরোজা জহুর বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ও নগরবাসীর সমন্বিত উদ্যোগেই এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। মশক মুক্ত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এ ক্রাশ প্রোগ্রাম বর্ষা মৌসুমজুড়ে ৪১ টি ওয়ার্ডে চলমান থাকবে।

চসিক মশক নিধন কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহির সঞ্চালনায় ও কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকি সেন গুপ্ত, পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকা কল্যাণ সমিতির সভাপতি এ কে এম সাঈদুল ইসলাম বাবু, সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সেলিম, জোন পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা হাছান রশিদ, মো.নিজামুদ্দিন, শহিদুল হক মিন্টু প্রমুখ।

প্যানেল মেয়র আরও বলেন, সমন্বিত মশক নিধন ব্যবস্থাপনার আওতায় প্রথম পদক্ষেপটিই হচ্ছে পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা। আমাদের চারপাশে যে সমস্ত জায়গায় এডিস মশা জন্মায় সেই সমস্ত জায়গায় যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে সেই ব্যাপারে সকলকে সচেতন হতে হবে। আবহাওয়াগত কারণে নগরীতে এখন মশার উপদ্রব বেড়েছে। এই বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতি ওয়ার্ডে ঝোপঝাড় পরিস্কার ও নালায় যেখানে মশার জন্ম হয় সেখানে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। ক্রাশ প্রোগ্রাম ছাড়াও চসিকের নিয়মিত কার্যক্রমের মধ্যে প্রতিদিন মশক নিধন স্প্রে চলমান রয়েছে।

নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করে প্যানেল মেয়র বলেন,পরিস্কার ও বদ্ধ পানি এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র। তাই বসত বাড়ির আশে পাশে ডাবের খোসা, ফুলের টব, ছাদ বাগান ও ফ্রিজের নীচের ট্রেতে তিন দিনের বেশি পানি যাতে জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাসা বাড়ি, ছাদ-আঙ্গিনা নিজ নিজ উদ্যোগে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এটি আমাদের সকলের নাগরিক দায়িত্ব। চট্টগ্রাম নগরীকে একটি নিরাপদ বাসযোগ্য ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন নগর গড়তে তিনি সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীকে সহযোগিতা করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।