জনবিপ্লবের মাধ্যমে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে

তারুন্য সমাবেশ সফল করতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের যৌথ প্রস্তুতি সভায়-মাহবুবের রহমান শামীম

আবুল হাশেম বক্কর বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, জনগণ ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করার জন্য রাজপথে নেমে এসেছে, এবার ভোট ডাকাত সরকারের আর শেষ রক্ষা হবে না। ইতিমধ্যে পায়ের নিচে মাটি সরে গেছে, এবার জনবিপ্লবের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। কোন স্বৈরাচার ক্ষমতা ছাড়তে চায় না, তাদের বাধ্য করতে হয়। পৃথীবির ইতিহাসে কোন স্বৈরাচার ঠিকে থাকতে পারেনি। স্বৈরাচার এরশাদের পতন হয়েছে, শেখ হাসিনারও পতন হবে। জনগণের অধিকার জনগণ আদায় করবে, কোন বাঁধা আর মানবে না। জনগণের এই বাঁধ ভাঙা জোয়ারে শেখ হাসিনা তলিয়ে যাবে।

তিনি আজ ০৫জুন, সোমবার বিকালে দলীয় কার্যালয় নাছিমন ভবনে আগামী ১১ জুন কেন্দ্র ঘোষিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় তারুন্য সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের যৌথ প্রস্ততি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, আজকে তরুণ প্রজন্ম জেগে উঠেছে, ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য। তরুণরা জেগে উঠেছে দেশ মাতৃকার টানে, তাদের রুখে দাঁড়ানোর সাধ্য কারো নেই। স্বাধীনতা আন্দোলনে ছাত্র ও যুব সমাজ ছিল অগ্রভাগে, ত্যাগ আর সাহসে জীবন উৎসর্গ করে আমাদের স্বাধীনতা এসেছে। এই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে, দেশের স্বাধীনতা  সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলন তথা দেশ বাঁচানোর আন্দলোনে তরুণ প্রজন্মকে দায়িত্ব নিতে হবে। দেশের প্রতি ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে দলমত নির্বিশেষে সকল ভেদাভেদ ভুলে ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে রাজপথে নামতে হবে। যদি ছাত্র সমাজ জেগে ওঠে, তাহলে কোন বাঁধা আর বাঁধা নয়, কোন স্বৈরাচার আর অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারবে না। তাই তারুণ্যের সমাবেশ সফল করার জন্য যার যার অবস্থান থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। দেশ ও জাতির মুক্তির জন্য এই সমাবেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, সরকার গণতন্ত্রকে ভুলুণ্ঠিত করার মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাঙ্খাকে পদদলিত করে দেশকে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। চলমান ভয়াবহ দুঃশাসন রুখে দিতে জনগণকে সম্পৃক্ত করে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বিকল্প নেই। আগামী ১১জুন কেন্দ্র ঘোষিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ হবে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ। এই সমাবেশের মাধ্যমে অবৈধ ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের পতন আন্দোলন আরও বেগবান হবে। যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দকে এলাকা এলাকা গণসংযোগ করে সাধারন জনগনকে নিয়ে  সমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে হবে। তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে চট্টগ্রাম মহানগরীর আওতাধীন ১৫টি থানা ও ৪৩টি ওয়ার্ড বিএনপির দায়িত্বশীল সকল নেতৃবৃন্দ সার্বিক সহযোগিতা করবে।
তিনি বলেন, আমরা একটি ভায়াবহ দুঃশানের মধ্যে আছি। এই দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, দলীয় আনুগত্য ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। দেশ নায়ক তারেক রহমান বলেছে বাংলাদেশের ফয়সালা হবে রাজপথে। সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উদ্ভট খবর এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা শান্তিপূর্ন সমাবেশ করতে চাই আর শান্তিপূর্ন আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে চাই। কোন উস্কানিতে আমরা পা দিবনা। অতিউৎসাহী হয়ে আমরা কিছুই করবো না, সরকার উস্কানি দিয়ে ফাঁদে ফেলতে চাইবে, সে ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না।
আগামী ১১ জুন চট্টগ্রাম বিভাগীয় তারুন্য সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সমাবেশ থেকে যুবদল,স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ যৌথ ভাবে ২দিনের প্রচার পত্র বিতরনের কর্মসূচি ঘোষনা করেন।  ৭ জুন বুধবার সকাল ১১টায় নতুন ব্রিজ, বেলা ১২টায় বহদ্দারহাট, দুপুর ১টায় মোহরা কামাল বাজার, বিকাল ০৩ টায় অক্সিজেন মোড়, বিকাল ৪টায় ওয়াসা মোড়, ৮ জুন, বৃহস্পিতিবার, সকাল ১১টায় পাহাড়তলী বাজার, বেলা ১২টায় ইপিজেড় মোড, দুপুর ১ টায় আগ্রাবাদ, বিকাল ৩টায় কদমতলী মোড়, বিকাল ৪টায় রেয়াজ উদ্দিন বাজার, বিকাল ৫টায় আন্দরকিল্লাহ এলাকায় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হয়ে উক্ত কর্মসূচি পালন করবেন।
চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তির সভাপতিত্বের নগর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খানের পরিচালয় প্রস্ততি সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর যুদলের সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ সাহেদ, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, নগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহীন সহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের মহানগর, থানার নেতৃবৃন্দ।