পিয়াজ আমদানির খবরে কেজিতে একলাফে কমলো ২০ টাকা

কয়েক সপ্তাহ ধরেই পিয়াজের বাজার ছিল লাগামহীন। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যটির দাম বাড়তে বাড়তে ৯০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছিল। এতে বাধ্য হয়ে পিয়াজ আমদানির ঘোষণা দেয় সরকার। আজ সোমবার থেকে পিয়াজ আমদানি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় এই খবর পাওয়া মাত্রই চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের বাজারে পিয়াজের ব্যাপক দরপতন ঘটে। সকালে যে পিয়াজ প্রতি কেজি ৯০ টাকা বিক্রি হয়েছে সন্ধ্যায় তা নেমে আসে ৭০ টাকায়।চাকতাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম জানান, সকালে খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে ৯০ টাকা করে পিয়াজ বিক্রি হয়। কৃষি মন্ত্রণালয় পণ্যটি আমদানির অনুমতি দিয়েছে- এমন খবর প্রকাশের পরপরই দাম কমতে শুরু করেছে। এখন কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে আমদানির ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দিনাজপুরের হিলিতেও পিয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ১০ টাকা। রোববার (৪ মার্চ) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পাইকারিতে ৮৫ টাকা কেজি দরে পিয়াজ বিক্রি হয়। তবে সন্ধ্যা থেকে তা নেমে আসে ৭৫ টাকায়।

পাইকারি বাজারে দাম কমায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।
হিলি বাজারের পিয়াজ ব্যবসায়ী শাকিল খান বলেন, পিয়াজ আমদানির অনুমতি না দেয়ায় ও দেশি পিয়াজের সরবরাহ কমে আসায় মোকামে রাত পোহালেই পিয়াজের দাম বাড়ছিল। যার কারণে আমাদেরকে বাড়তি দামে কিনতে হয়, আবার বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছিল। দেশি পিয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের ও শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ সব ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় পিয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সন্ধ্যার দিকে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে মোকামগুলোতে পিয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।
এদিকে সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোমবার (৫ জুন) থেকে পিয়াজ আমদানি শুরু হবে। রোববার (৪ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, হঠাৎ করে পিয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণে পিয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সীমিত আয়ের, শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট লাঘবসহ ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।