দুই শতাধিক প্রতিযোগীর অংশ গ্রহণ
মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই: “বাংলা গানের চর্চার পাশাপাশি পাহাড়ে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর সংস্কৃতিকে আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া এবং তাদের থেকে উদীয়মান প্রতিভাকে তুলে আনার লক্ষ্যে কাপ্তাই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শনিবার (৩ জুন) সকালে বর্ণিল আয়োজনে উদ্বোধন করা হলো কাপ্তাই সঙ্গীত প্রতিভা অন্বেষণ- ২০২৩। উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জলনের মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন।
জেলা প্রশাসক তার বক্তব্যে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বসবাসকারী সকল ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি রয়েছে। সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে সমাজ থেকে মৌলবাদ দূর হবে। তিনি আরও বলেন, সংস্কৃতি চর্চা মানুষকে সহনশীলতা হতে শেখায়। তাই শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চা করা প্রয়োজন। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি রুমন দে’র সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্তের সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী ও দীপ্তিময় তালুকদার, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল হক, কাপ্তাই উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মারজান হোসাইন, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ নাছির উদ্দীন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান উমেচিং মারমা, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সহ- সভাপতি খোরশেদুল আলম কাদেরী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কাপ্তাই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সহ- সভাপতি ও প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা -২০২৩ এর আহবায়ক ডাঃ প্রবীর খিয়াং। এসময় উপজেলা সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিল্পকলা একাডেমির বর্তমান ও প্রাক্তন সদস্য এবং অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের আগে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির যুগ্ম সম্পাদক ও প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতার সদস্য সচিব মংসুইপ্রু মারমার সঞ্চালনায় উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা সম্প্রিতীর নাচ ও গান পরিবেশন করেন। পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং অন্যান্য অতিথিরা বিভিন্ন বুথে গিয়ে প্রতিযোগিতা কার্যক্রম উপভোগ করেন। প্রতিভা অন্বেষণের আহবায়ক ডাঃ প্রবীর খিয়াং জানান, বাংলা, মারমা, তনচংগ্যা, চাকমা, খিয়াং, লুসাই, বম ও ত্রিপুরা ভাষার ২ শতাধিক প্রতিযোগী প্রতিভা অন্বেষণের ৫টি ভ্যেনুতে ইয়েস কার্ড রাউন্ডে অংশ নিয়েছে। পরবর্তীতে বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক গানের ৪টি রাউন্ড শেষে চুড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমন দে জানান, বর্ণাঢ্য আয়োজনে শনিবার আমরা কাপ্তাই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে সঙ্গীত প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেছি। বাংলা সংস্কৃতির পাশাপাশি ক্ষুদ নৃ- গোষ্ঠীর শিল্পীদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য আমাদের এই প্রয়াস। আশা করছি, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তৃনমুল পর্যায়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রতিভা বের হয়ে আসবে। প্রতিযোগিতায় ইয়েস কার্ড অর্জনকারীদের অনেকে জানান, ইয়েস কার্ড অর্জন করতে পেরে তারা অনেক খুশি। এদিকে, কাপ্তাই সঙ্গীত প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতাকে ঘিরে কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন এবং এর আশেপাশে এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
