প্রচন্ড তাপদাহে রাউজানে অতিষ্ঠ মানুষের জনজীবন

শফিউল আলম, রাউজান প্রতিনিধিঃ নেই বৃষ্টির দেখা,প্রচন্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে রাউজানের প্রত্যেকটি গ্রামের মানুষের জনজীবন। এখানে প্রতিদিন গড়ে ৩৮ডিগ্রির উপরে তাপমাত্রা বিরাজ করছে।সকাল থেকেই শুরু হয় গরম হাওয়া।বেলা গড়ালে একটু একটু করে বাড়তে থাকে সূর্যের তাপ।জনশূন্য হয়ে পড়েছে গ্রামীণ জনপদ।এই আগুন ঝরা রোদ থেকে বাঁচতে মানুষ ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছে। তাতেও নেই একটু স্বস্তির বাতাস।এই প্রচন্ড রোদের তেজে বেশিরভাগ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না।গরমে মানুষ থেকে শুরু করে প্রাণীকুল হাহাকার করছে বৃষ্টির জন্য।গাছের ছায়ার নিচে কিংবা শীতল কোনো স্থানে একটু প্রশান্তির আশায় ছুটছেন সবাই।আবার কেউ কেউ গাছের ছায়ার নিচে বসে হাতপাখা ঘোরাচ্ছে।প্রচণ্ড গরমের তাপে গ্রামীণ জনপদ উত্তপ্ত। ফাঁকা রাস্তা ঘাট, বিপর্যস্ত খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। তীব্র গরমের কারণে বন্ধ হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের কাজ। গরমে ক্লান্তি দূর করতে কেউ ডাবের পানি পান করছেন, কেউ কেউ খাচ্ছেন লেবুর শরবত আর ঠান্ডা পানি। পরিদর্শনে দেখা গেছে- প্রচণ্ড তাপদাহের ফলে রাউজান উপজেলার হাট- বাজার গুলোতে বেড়েছে লেবুর শরবত, আনারস, ঠান্ডা পানি ও ডাবের বিক্রি।হাট-বাজারে বিভিন্ন খোলা জায়গায় লেবুর শরবত, ঠান্ডা পানি ও ডাবের বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।তবে অনেকেই গরমের তীব্রতা সহ্য করতে না পেরে মাথায় পানি দিচ্ছি, আবার কেউ কেউ পুকুরের পানিতে শরীর ডুবিয়ে রাখছে। শিশুরাও গরম সহ্য করতে না পারে পুকুর এবং নদী-খালের পানিতে লাফ দিয়ে নিচে পড়ছে। এছাড়াও গরমের তীব্রতা দোকানে বেচাকেনা বেড়েছে চার্জার ফ্যান।অনেকেই ছোট শিশু জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন চার্জার ফ্যান। একটু স্বস্তির জন্য।গত ২ জুন শুক্রবার ৩ জুন শনিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গরমের তাপমাত্রা যে এত বেশি বাহিরে হাঁটলেই গরম বাতাস অনুভূত হচ্ছে। এই গরমের পাশাপাশি লোডশেডিংয়ের অতিষ্ঠ জনগণ। প্রতিদিন নিয়মিত ২-৩ ঘন্টায় লোডশেডিংয়ের ভুগছেন জনগণ । এই গরমে সবচেয়ে কষ্টে রয়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষগুলো।একটুখানি বৃষ্টিপাতের জন্য হাহাকার করছেন মানুষ। বৃষ্টিপাত হলে সূর্যের তাপমাত্রা কমতে পারে বলে জানান পথচারীরা। প্রচন্ড তাপদাহে রাউজানে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে পড়েছে।