সঠিক নিয়মে আলমারি না গুছিয়ে রাখলে প্রয়োজনের সময় কিংবা তাড়াহুড়োয় প্রয়োজনীয় পোশাক খুঁজে পান না অনেকেই। আলমারি গুছিয়ে রাখার আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো সব পোশাককে বিভিন্ন শ্রেণিতে শ্রেণিবিন্যাস করে আলাদা আলাদাভাবে অর্গানাইজড করা, যা অনেকটাই ঝক্কিঝামেলার বিষয়।
বাড়ছে গরম। সেই সঙ্গে সামনে আসছে ঈদ উৎসব। এ কারণে প্রতিনিয়ত আলমারিতে দিন দিন পোশাকের পরিমাণ বেড়েই চলছে। তাই কেমন করে আলমারি গোছাবেন আর পোশাক গুছিয়ে রাখতে কোন কোন বিষয় প্রাধান্য দেবেন, তা নিয়ে বিস্তারিত থাকছে আজকের আয়োজনে।
আলমারি বা ওয়ারড্রোবে সাধারণত পরিবারের সব সদস্যের পোশাক থাকে। তাই ব্যক্তিবিশেষের পোশাক তাড়াতাড়ি খুঁজে পেতে আলমারির বিভিন্ন তাককে ভাগ করে নিন। যদি ওয়ারড্রোবে পোশাক রাখেন, তাহলে সে অনুযায়ী ড্রয়ার ভাগ করেন।
আলমারিতে জায়গা বেশি থাকলে পোশাক ঝুলিয়ে রাখতে হ্যাঙারকে প্রাধান্য দিতে পারেন। এতে অনেক পোশাক একসঙ্গে রাখা যায়। জায়গা বাঁচে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাপড় বা পোশাক সহজেই খুঁজে পাওয়া যায়।
এভাবে সাজাতে না চাইলে পোশাক অনুযায়ী তাক বা ড্রয়ারকে ভাগ করতে পারেন। যেমন, আলমারির একটি তাকে রাখলেন শাড়ি। অন্য তাকে রাখুন ওয়েস্টার্ন পোশাক। জিন্স বা প্রতিদিন পরতে হয় এমন কয়েকটি পোশাক অন্য একটি তাকে একসঙ্গে গুছিয়েও রাখতে পারেন।
জায়গা কম হলে পোশাক সুন্দর করে ভাঁজ করে আলমারিতে রাখুন। পোশাকের সঙ্গে অন্যান্য আনুষঙ্গিক যেমন বোতাম, সেফটিপিন, ঘড়ি, চশমা, মোজা ইত্যাদি সামগ্রীর জন্য আলাদা ড্রয়ার করুন। যেখানে শুধু এই জিনিসগুলোই থাকবে। এতে গুছিয়ে রাখা এবং খুঁজে পাওয়া দুটিই সহজ হবে। প্রতিদিন ব্যবহার করা গয়নাও এই ড্রয়ারে রাখতে পারেন।
তাড়াহুড়োর সময়ে জামাকাপড় বের করতে গিয়ে আলমারি সবচেয়ে বেশি অগোছালো হয়ে পড়ে। এমন সমস্যায় পড়েননি এমন মানুষের সংখ্যাও পৃথিবীতে কম নয়। এ সমস্যা সমাধানের জন্য সকালে বেরোনোর থাকলে রাতেই পোশাক আলমারি থেকে আস্তে ধীরে বের করে রাখুন। এতে আলমারির সাজসজ্জা নষ্ট হবে না। সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় পোশাকটিও খুঁজে পাবেন অতি সহজেই।
জামা কাপড়ের সুরক্ষায় কখনো না ধুয়ে কোনো পোশাক আলমারিতে রাখবেন না। হালকা ভেজা পোশাকও আলমারিতে রাখা পোশাকের ক্ষতি করে। বিভিন্ন ধরনের পোশাককে সুরক্ষিত রাখতে অবশ্যই আলমারি বা ওয়ারড্রোবে পোশাকের মাঝে ব্যবহার করুন নেপথোলিন।