ভারতে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮৮

ভারতের উড়িষ্যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও প্রায় ৯০০ জন। আহতদের মধ্যে দুই বাংলাদেশি রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। শুক্রবার (২ জুন) সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত লাগোয়া উড়িষ্যার বালেশ্বর জেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিকেলে ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার শালিমার স্টেশন থেকে ছেড়ে চেন্নাই যাচ্ছিল।

ট্রেনটিতে অন্তত আড়াই হাজার যাত্রী ছিল। সন্ধ্যা ৭টার দিকে উড়িষ্যার বালেশ্বরে পৌঁছাতেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেসসহ তিনটি ট্রেন। উল্টো দিক থেকে আসা ব্যাঙ্গালুরু থেকে কলকাতাগামী একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে হয় মুখোমুখি সংঘর্ষ। এতে যাত্রীবাহী ট্রেনের কয়েকটি বগি পড়ে যায় পাশের লাইনের ওপরে। একই সময় বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রেন সেই বগিগুলোকে ধাক্কা দিলে ঘটে হতাহতের ঘটনা।

ভারতের রেলওয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা এক বিবৃতিতে বলেন, করমন্ডল এক্সপ্রেস যেটা কিনা হাওরা থেকে চেন্নাই যাচ্ছিলো, সন্ধ্যা সাতটার দিকে সেটি বালেশ্বরে পৌঁছাতেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

উল্টোদিক থেকে একটি মালবাহী ট্রেন এটিকে ধাক্কা দেয়। পরে এর বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়। মুহূর্তেই আহতদের আর্তনাদে ভারি হয়ে উঠে গোটা বালেশ্বর। শুরু হয় উদ্ধার তৎপরতা। কলকাতা থেকেও উদ্ধারকর্মীরা অংশ নেন উদ্ধার কাজে। রাতের আঁধারেও মরিয়া হয়ে চলে প্রাণের খোঁজ। কিন্তু সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। আহতদের অবস্থাও শঙ্কটাপন্ন। কেউ হারিয়েছেন হাত, আবার কারও নেই পা। যারা সুস্থভাবে বেঁচে ফিরেছেন তাদেরও চোখে মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ।
ট্রেনের এক যাত্রী দ্য হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। গাড়ি যখল উল্টে গেলো তখন আমার ঘুম ভেঙ্গেছে। আমার বগিতে ১০ থেকে ১৫ জন ছিলো। ওরা সবাই আমার ওপরে পড়েছে। হাতে, ঘাড়ে ব্যথা পেয়েছি। পরে বগি থেকে নেমে দেখি অবস্থা ভয়াবহ। কারও হাত নেই, কারও পা নেই। আবার কারও চেহারা থেঁতলে গেছে।