ইমরানের সর্বনাশ, জারদারির পোয়াবারো

ইমরান খানের সর্বনাশ। অন্যদিকে আসিফ আলি জারদারির পোয়াবারো। ফাঁদে পড়েছেন ইমরান। তাকে একে একে ত্যাগ করে যাচ্ছেন নেতারা। চেষ্টা করছেন নতুন দল গঠন করতে। আবার অনেককে নিজের বাগে নিচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি। ইমরানের পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) দলের কমপক্ষে ২৪ জন সাবেক ও বর্তমান আইনপ্রণেতা যোগ দিয়েছেন জারদারির দল পাকিস্তান পিপলস পার্টিতে (পিপিপি)। এর বেশির ভাগই দক্ষিণ পাঞ্জাবের। এর মধ্যে শুধু মুজাফফরগড় জেলারই ১০জন। অন্যরা ওকারা, ভাওয়ালপুর, মিয়াওয়ালি, ভাওয়ালনগর এবং রহিম ইয়ার খান ডিস্ট্রিক্টসের।

তাদেরকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী সৈয়দ ইউসুফ রাজা গিলানি, নায়ার হোসেন বুখারি, সাবেক গভর্নর মাখদুম আহমেদ মেহমুদ এবং সৈয়দ হাসান মুর্তজা। পিপিপির জন্য মুজাফফরগড় হলো দুর্গ। জাতীয় পরিষদের নির্বাচনে এই জেলা থেকে কঠিন সময়েও তাদের দুই থেকে তিনজন সদস্য বিজয়ী হন। দলে নতুন যোগ দেয়া ব্যক্তিদের একজন বলেছেন, তারা প্রথমে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজে (পিএমএলএন) যোগ দেয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সেখানে স্থান পাননি। কারণ, এস্টাবলিশমেন্টের চাপে দল ছেড়ে আসা এসব ব্যক্তিতে ভরসা পাচ্ছিলেন না তারা। নিজের নাম প্রকাশ করতে চান না ওই নেতা। তিনি বলেন, তারা পিপিপিতে যোগ দিয়েছেন। কারণ, প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার ভোটব্যাংক আছে তাদের। এছাড়া এস্টাবলিশমেন্টও তাদের পক্ষে থাকতে পারে। পিপিপির দক্ষিণ পাঞ্জাবের একজন নেতা বলেছেন, যারা যোগ দিয়েছেন পরবর্তী নির্বাচনে তারা দলের শক্তিশালী প্রার্থী হবেন না। তবে এখন অন্তত দল ভাল পারফরর্মেন্স দেখিয়েছে। ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে পাঞ্জাব থেকে জাতীয় পরিষদে মাত্র ৬টি আসনে জয়ী হয়েছিল পিপিপি। এই নেতা আরও বলেন, মুলতানের আরও নেতা যোগ দেবেন তাদের সঙ্গে। তাদের ভবিষ্যত নিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী গিলানি দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পরই এই যোগদান হবে। বিলাওয়াল হাউজে সাংবাদিকদের কাছে গিলানি বলেছেন, পাঞ্জাবে ভবিষ্যত রাজনৈতিক কৈশল নিয়ে তাদের গঠনমুলক আলোচনা হচ্ছে। সব রাজনৈতিক দলের নেতা এখন পিপিপিতে যোগ দিতে চাইছেন। তাদের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।