আবারও বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় প্রথম স্থানে উঠে এলেন ইলন মাস্ক। তিনি বৈদ্যুতিক গাড়ির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা মোটরসের প্রধান নির্বাহী এবং মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের মালিক। বর্তমানে চীন সফরে রয়েছেন এই মার্কিন ধনকুবের। এসময়েই এ সুখবর পেলেন তিনি। এতদিন প্রথম স্থানে থাকা ফরাসি ধনকুবের বার্নার্ড আরনল্টের প্রতিষ্ঠান এলভিএমএইচের শেয়ারের মূল্য ২.৬ শতাংশ কমে যাওয়ার পরই তিনি প্রথম স্থান হারালেন।
খবরে জানানো হয়, ৭৪ বছর বয়সী আরনল্টের সঙ্গে গত দুই বছর ধরেই শীর্ষ ধনীর স্থান নিয়ে প্রতিযোগিতা চলছে মাস্কের। যদিও এরইমধ্যে আধুনিক ইতিহাসের সবথেকে বেশি সম্পদ অর্জনের রেকর্ড গড়েছেন মাস্ক, তবে একাধিকবার তিনি শীর্ষস্থান থেকে ছিটকে পড়েছেন। মাস্কের বর্তমান সম্পদের পরিমান ১৯২ বিলিয়ন ডলার। অপরদিকে আরনল্টের সম্পদের পরিমাণ এখন ১৮৭ বিলিয়ন ডলার।
গত বছরের ডিসেম্বরে আরনল্টের কাছে প্রথম স্থান হারিয়েছিলেন মাস্ক। গত বছরের শেষ দিকে টুইটার কিনে নেয়ার পর থেকে মাস্কের সব মনোযোগ টুইটারে চলে যায়।
এরপরই একের পর এক ধাক্কা খেতে থাকেন মাস্ক। টেসলার শেয়ারের দাম পতনের কারণেও ক্ষতিগ্রস্থ হন তিনি। তবে আস্তে আস্তে তিনি ঘুরে দাড়াচ্ছেন আবারও। তার প্রতিষ্ঠান স্পেস-এক্স দারুণ ব্যবসা করে চলেছে।
ইলন মাস্কের জন্ম ১৯৭১ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায়। বাবা ছিলেন একজন প্রথিতযশা প্রকৌশলী। মা ছিলেন জনপ্রিয় কানাডিয়ান মডেল। আজ যে খ্যাতি, যে প্রতিপত্তি ইলনের, তার ভিত তৈরি হয়েছে সেই শৈশবেই। বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতির কারণে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো সমস্যায় পড়লেও বিলাসী পণ্যে মানুষের আগ্রহ কমেনি। আরনল্টের প্রতিষ্ঠিত এলভিএমএইচের অধীনে বিলাসী কোম্পানির বেঁচা-বিক্রি ভালো থাকায় তার সম্পদও বেড়েছিল।
কিন্তু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধীরগতি হওয়ায় এখন বিলাসী পণ্যের ওপর মানুষের আগ্রহ কমে যায়। বিশেষ করে চীনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেকটাই কম। আরনল্টের এলভিএমএইচের শেয়ার গত এপ্রিল থেকে প্রায় ১০ শতাংশ কমে। আরনল্টকে এমনও দিন দেখতে হয়েছে যেদিন মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে তার মোট সম্পত্তি থেকে ১১ বিলিয়ন ডলার উধাও হয়ে গেছে। অপরদিকে এ বছর এখন পর্যন্ত মাস্কের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছে ৫৫.৩ বিলিয়ন ডলার। মূলত যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিনে অবস্থিত টেসলার কারণেই তার সম্পদ বেড়েছে।