রেমিট্যান্স বৃদ্ধি পাওয়ায় বিএনপি’র গাত্রদাহ হচ্ছে

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারের রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় বিএনপি’র গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। যারা দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার আর্জি নিয়ে চাতক পাখির মতো বিদেশি প্রভুদের দিকে চেয়ে থাকে, তারা রেমিট্যান্স বৃদ্ধির সুখবর কোনোভাবেই মেনে নিতে পারবে না সেটাই স্বাভাবিক। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। কাদের বলেন, বাংলাদেশের যেকোনো অগ্রগতি ও সফলতায় বিএনপি’র গাত্রদাহের বহিঃপ্রকাশ মির্জা ফখরুলদের নেতিবাচক বক্তব্যের মধ্য দিয়ে বারবার উন্মোচিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়া সম্পর্কে মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যে তারই পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। তিনি বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২.৫ শতাংশ প্রণোদনা প্রদানের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণেই রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুকন্যার সফল নেতৃত্বের কল্যাণে বাংলাদেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগের নিরাপদ স্থান হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতোই প্রবাসী বাংলাদেশিরাও দেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, বিএনপি সেই রাজনৈতিক দল যারা বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।

যারা সরকারের বিরোধিতা করতে যেয়ে প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে নিরুৎসাহিত করে দেশে অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি করতে চায়। কাজেই রেমিট্যান্স বৃদ্ধির সুখবরে বিএনপি নেতারা খুশি নয়। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার অর্থপাচার রোধে কার্যকর আইন প্রণয়ন এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নজির স্থাপন করেছে।

অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত অশুভ জোট শাসনামলে দুর্নীতি ও অর্থপাচারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়া হয়েছিল। হাওয়া ভবন খুলে খালেদা জিয়ার পুত্ররা দুর্নীতি, লুটপাট ও অর্থপাচারের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছিল। তাদের দুর্নীতি ও অর্থপাচার সম্পর্কে বিশ্বখ্যাত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই সাক্ষ্য দিয়েছে। সিঙ্গাপুর থেকে খালেদা জিয়ার পুত্রদের পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বরং বিএনপিই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।
আগুন দিয়ে শত শত নিরীহ, নিরাপরাধ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা ও ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ এবং উগ্র-সাম্প্রদায়িক জঙ্গিবাদী অপশক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকা-ের জন্য বিএনপিই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এমনকি কানাডার উচ্চ আদালত বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কিন্তু তারা তাদের অতীত অপকর্ম নিয়ে অনুতপ্ত না হয়ে উল্টো নতুন নতুন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনও অনুরূপভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এটাই শেখ হাসিনার সরকারের সংকল্প। অন্যদিকে জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি নিশ্চিত পরাজয় জেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণে ভয় পায়। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন বানচাল এবং গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক ধারাকে ব্যাহত করতেই দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জনগণ যেকোনো মূল্যে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে অগ্রসরমান উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির ধারাকে অব্যাহত রাখবে।